Advertisement
E-Paper

Intermittent Fasting: ওজন কমানোর আশায় বেশ কয়েক ঘণ্টা উপোস করে থাকেন? আদতে কমবে তো

ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ না থাকলেও জানতে হবে সঠিক পন্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৯
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাক হার ঠিক থাকে।

নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাক হার ঠিক থাকে। ছবি: সংগৃহীত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই চসবে না। তার সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসেও রাশ টানতে হবে। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হয়।

এই ডায়েট করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও ভাল থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাক হার ঠিক থাকে। এতে ক্যালোরিও কম খাওয়া হয়। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

এই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ নিয়ে অনেকেই অনেক ভুল ধারণা রাখেন। আপনিও কি ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করার পরিকল্পনা করছেন? তা হলে এই ভ্রান্ত ধারণা গুলি জেনে নেওয়া ভীষণ জরুরি।

১) এই ডায়েটে প্রাতরাশ এড়িয়ে চলতে হয়: কখন বা কত ক্ষণ অন্তর মিল পরিকল্পনা করছেন, তা-ই প্রাধান্য পায় ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ পদ্ধতিতে। তার জন্য দীর্ঘ সময় উপোস করতে হয়। অনেকেই এই ডায়েট চলাকালীন দিনের প্রথম খাবারটা অনেক দেরীতে শুরু করেন। এতে সারা দিনে খিদে কম পায়। কাজে মনোযোগ দিতে সুবিধা হয়। তার মানে এই নয়, আপনাকেও এমনটাই করতে হবে। আপনি চাইলে প্রাতরাশ করতেই পারেন। তবে মনে রাখতে হবে প্রথম খাবার শুরু করার ছ’ ঘণ্টা মধ্যেই সারা দিনের খাবার সেরে ফেলতে হবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

২) এই ডায়েট করলেই ওজন কমবে: ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ শুরু করলেই আপনার ওজন ঝরবে এমনটা কিন্তু নয়। ছ’ থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে আপনি কী খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে। ১৬ ঘণ্টা উপোস করলেন অথচ বাকি সময়টা প্রচুর ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলেন— এমনটা করলে ওজন কখনই কমবে না। আপনি যতটা পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন সেই পরিমাণ ক্যারোরি খরচ হচ্ছে কি না সেটাও লক্ষ করতে হবে।

৩) ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ এক ধরনের হয়: অনেকেই মনে করেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার সারতে পারলেই বুঝি এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা হয়। এই ডায়েট কিন্তু অনেক ধরনের হয়। এই ডায়েট করার সময় পুষ্টিবিদরা অনেককেই দিনে কেবল এক বার খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ঠিক কত ঘণ্টা অন্তর কতটা পরিমাণ খাবার খাবেন তাও বেঁধে দেওয়া হয়। তাই আপনার শরীরের জন্য ঠিক কোন প্রকার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর প্রয়োজন তা পুষ্টিবিদদের কাছে জেনে নেওয়াই শ্রেয়।

Intermittent Fasting Weight Loss Weight Loss Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy