বয়সকালের অসুখবিসুখ এখন হানা দিচ্ছে কম বয়সেই। হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের কোনও বয়স থাকছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মই এর শিকার হচ্ছে।
আর এতেই প্রমাদ গুনছেন চিকিৎসকেরা। কমবয়সিদের হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবিটিস, কিডনি অসুখের প্রবণতাতেও তাঁরাও চিন্তিত। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিপদ লুকিয়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসেই।
আরও পড়ুন:
হার্টের অসুখ থেকে ডায়াবিটিসের চিকিৎসকেরা জানান, খাদ্যতালিকায় একটি উপাদানই অনেক সমস্যা বশে রাখতে পারে, আর তা হল ফাইবার। ফাইবার শুধু পেট ভাল রাখে না, রক্তে শর্করার মাত্রাও দ্রুত বাড়তে দেয় না। রোজের খাবারে ফাইবার থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র জার্নালে ২০১৯ সালের একটি গবেষণালব্ধ ফলে প্রকাশ পেয়েছে, উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার বা ডায়েট কার্ডিয়োভাস্কুলার অসুখের ঝুঁকি কমায়, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে ৯ শতাংশ পর্যন্ত, ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় ২৩ শতাংশ, ২৮ শতাংশ পর্যন্ত গ্লুকোজ়ের মাত্রা কমাতে পারে।
কেন সান্ধ্য খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে মিলবে ফল?
সন্ধ্যা হলেই অনেকের মুখরোচক কিছু খাবার খেতে ইচ্ছা করে। পিৎজ়া, চপ, প্যাটিস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-সহ ভাজাভুজি খাবার হার্টের অসুখ, ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে, সান্ধ্য জলখাবারে একটু বদলই হতে পারে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি।
এক মুঠো বাদাম কিংবা আপেল
চিনেবাদাম, আখরোট, কাঠবাদামে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার মেলে। আপেলেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। সন্ধ্যার দিকে এমন খাবার খেলে শরীর ভাল থাকবে।
মাখানা
১০০ গ্রাম মাখানায় প্রায় ১৫ গ্রাম ফাইবার মেলে। এ ছাড়া, ভিটামিন, খনিজও থাকে যথেষ্ট। সান্ধ্য খিদে মেটাতে ঘিয়ে রোস্ট করা মাখানা এবং বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
ওট্স: ফাইবারে পরিপূর্ণ ওট্স। ১০-১১ গ্রাম ফাইবার মেলে ১০০ গ্রাম ওট্স। ওট্স স্মুদির সঙ্গে অল্প কিছু বাদাম, আপেল বা বেরি জাতীয় ফল খেলেও শরীর ভাল থাকবে। শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে সন্ধ্যায় এমন কিছুও খাওয়া যায়।
স্যুপ: সুইট কর্ন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ রকমারি সব্জি দিয়ে স্যুপও হতে পারে সন্ধের খাবার। ফুলকপি, পালংশাক, ব্রকোলি, গাজর-সহ নানা রকম সব্জি রাখতে পারেন তাতে।