বি-টাউনের নামজাদা অভিনেত্রী তিনি, কী খান, পরেন, কোথায় যান— তা নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। নায়িকা বলে কথা! জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়া হবে বিশেষ রকম, তেমনটাই মনে করেন সকলে।
তবে আলিয়া ভট্টের পছন্দের খাবারের কথা শুনলে অবাক হতে পারেন যে কেউ। ঘরোয়া জিনিসই খেতে ভালবাসেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় খাবার ঘরে তৈরি দই-ভাত। দক্ষিণ ভারতেও অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার ‘কার্ড রাইস’। বিষয়টি দই-ভাত হলেও অবশ্য সেটির রন্ধনের পদ্ধতিতে বিশেষত্ব রয়েছে। দক্ষিণী কায়দায় তৈরি দই-ভাতে ঘিয়ের মধ্যে কারিপাতা, ডাল, সর্ষে ফোড়ন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
রান্না যে ভাবেই হোক না কেন, যে কোনও মরসুমেই তা পেটের পক্ষে ভাল। আর পেট যদি ভাল থাকে, সুস্থ থাকে শরীরও। দিল্লির পেটের রোগের চিকিৎসক শুভম বৎস সমাজমাধ্যমে নানা রকম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দেন। তিনি জানিয়েছেন, দই-ভাতের গুণাগুণ। চিকিৎসকের কথায়, দই-ভাতে মেলে প্রোবায়োটিক এবং রেজ়িস্ট্যান্ট স্টার্চ, যা প্রদাহ কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে।যাঁরা নিয়মিত বদহজম, পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই খাবার অত্যন্ত উপকারী, পেটের পক্ষে ভাল।
দই-ভাত পছন্দের খাবার আলিয়া ভট্টের। এটি খাওয়া কেন ভাল? ছবি : সংগৃহীত।
আর কী উপকার?
দই-ভাত খেলে শরীরে ‘বিউটারেট’ নামে শর্ট চেন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি হয়। এই উপাদান ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট করতে এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ‘বিউটারেট’ ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের দেওয়ালে পাতলা আস্তরণ তৈরি করে। ফলে অম্বলের সমস্যা কমে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
দই-ভাতে মেলে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২ এবং প্রোটিন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য এগুলি জরুরি। ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত করে। প্রোটিন শক্তি এবং পেশি সবল রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
অ্যান্টিবায়োটিকের পর
অসুখ সারাতে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয় লম্বা সময় ধরে। অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি ভাল ব্যাক্টেরিয়াও মেরে ফেলে। তার ফলে পেটের গোলমাল হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ, অ্যান্টিবায়োটিক টানা খাওয়ার পরে যদি কেউ নিয়মিত দই-ভাত খান পেটের সমস্যা কমবে। শরীর ভাল থাকবে।
কী ভাবে বানাবেন দই-ভাত?
ঠান্ডা ভাত, দই দিয়ে মেখে খাওয়াই যায়। তবে স্বাদ ভাল করতে হলে টকদই, ভাজা জিরেগুঁড়ো, নুন দিয়ে ফেটিয়ে নিন। ঠান্ডা ভাত হাত দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তার পর সেটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ফোড়নের জন্য এক টেবিল চামচ ঘিয়ে দিন কারিপাতা, সর্ষে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন। অল্প একটু বিউলির ডাল এবং ছোলার ডালও দেওয়া যায়। দই ভাতের উপরে ফোড়ন দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন। তবে চাইলে কেউ ফোড়নের ধাপটি বাদ দিতেও পারেন।