‘‘যা-ই করো, রোজ করতে হবে, বাদ দিলে হবে না।’’ মা নীতু কপূরের থেকে এই শিক্ষা পেয়েছিলেন রণবীর কপূরের দিদি ঋদ্ধিমা কপূর সাহনি। আর সেই পরামর্শই সারা জীবন কাজে লেগেছিল তাঁর। আজ ঋদ্ধিমা ফিটনেসের অনুরাগী হিসেবে জনপ্রিয়। কিন্তু তার মূলে রয়েছেন নীতু। যিনি বলেছিলেন, ‘‘যেমন যতটুকু শরীরচর্চা করবে করো, কিন্তু সেটাই রোজ কোরো। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। যা তোমার ভাল লাগে, সেটিই করবে। সেখান থেকে নড়চড় যেন না হয়। রোজ অনুশীলন করতে হবে। যেমন আমার জন্য যোগাসন সেরা। তোমারও কিছু একটায় মন বসবে নিশ্চয়ই।’’
মায়ের মতো যোগাসনের অনুরাগী হয়ে ওঠেন ঋদ্ধিমা। নীতুর কথা মেনেই রুটিনে হেরফের হয়নি এক দিনের জন্যেও। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘‘আমার ইনস্টাগ্রাম দেখলেই বোঝা যাবে, যোগাসন কখনও বাদ দিইনি আমি। ২০০৪ সাল থেকে আমার শরীরচর্চার অঙ্গ হয়ে রয়েছে যোগাসন। সপ্তাহে ৪-৫ বার শরীরচর্চা করি।’’
ঋদ্ধিমা যোগাসনের সঙ্গে ভারোত্তোলনকেও যুক্ত করে নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
কিন্তু যৌবনে কেবল যোগাসন করে আনন্দ পেতেন না ঋদ্ধিমা। জিমের হাতছা়নি, সাঁতার ইত্যাদি কত কী-ই না ছিল। তবে কন্যা সামারার জন্মের পর থেকে সেই যে যোগাসনের প্রতি নিষ্ঠাবান হলেন, আজও সেই বন্ধন রয়ে গিয়েছে। অন্য কিছুই আর ভাল লাগে না তাঁর। রণবীরের দিদির কথায়, ‘‘আমার মনেও নেই শেষ কবে জিমে গিয়েছি। ট্রেডমিলে হাঁটতে বললে, সেটাও করতে পারব না। শুধু যোগাসনই করতে পারি আমি এখন।’’়
তবে কেবল জিম বললে সম্পূর্ণ কথা বলা হয় না। আসলে ঋদ্ধিমা যোগাসনের সঙ্গে ভারোত্তোলনকেও যুক্ত করে নিয়েছেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে ভাবে পেশির ক্ষয় হতে থাকে, সেটিকে রোধ করতে এই সংমিশ্রণ বেশ কার্যকরী। মেরুদণ্ড এবং অস্থিসন্ধি এ দিক-ও দিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেলেও যোগাসন ও ভারোত্তোলন উপকার করতে পারে।