শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হাঁটার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। জিমে না গিয়ে বা ওজন-সহ ব্যায়াম না করেও শুধুমাত্র হাঁটার সাহাযেই চাইলে কেউ ফিট থাকতে পারেন। তবে হাঁটার একাধিক ধরন রয়েছে। কেউ ধীরে হাঁটা পছন্দ করেন। আবার কেউ দ্রুত হাঁটতে স্বচ্ছন্দ। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে ‘রাকিং’ পদ্ধতি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। হাঁটার এই বিশেষ ধরনের কী কী উপকারিতা রয়েছে? কাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
আরও পড়ুন:
‘রাকিং’ কী
ফিটনেস এক্সপার্টদের মতে, এই ধনের হাঁটার কৌশল মূলত সামরিক প্রশিক্ষণের অঙ্গ। ‘রাকিং’-এর অর্থ পিঠে কোনও ভারী বস্তু নিয়ে হাঁটা।
প্রথমে ব্যাগে অল্প ওজন ভরে ‘রাকিং’ শুরু করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
সুবিধা কোথায়
১) এই পদ্ধতিতে হেঁটে বেশি ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব।
২) রাকিং পায়ের সঙ্গে দেহের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩) যাঁদের দৌড়োতে অসুবিধা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের হাঁটা সুবিধাজনক।
৪) এই ভাবে হাঁটা কার্ডিয়োর সমান। যাঁরা স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের সময় বের করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘রাকিং’ উপকারি।
৫) শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে রাকিং। পাশাপাশি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এই ধরনের হাঁটা উপকারী।
কী ভাবে করবেন
পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে রাকিং করা যেতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষকদের মতে, সে ক্ষেত্রে সুবিধা অনুযায়ী ৪ থেকে ৯ কেজি ওজন নেওয়া যেতে পারে। পরে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সেই ওজন ২৩ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রথমে ৫০০ মিটার থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা রাখা উচিত। তার পর ধীরে ধীরে হাঁটার দূরত্ব বাড়ানো যেতে পারে।
সাবধানতা
যাঁরা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন বা যাঁদের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, তাঁদের ক্ষেত্রে রাকিং থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার যাঁদের দুর্বল হার্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও এই ভাবে হাঁটা উচিত নয়। হাঁটার সময় যাঁদের শরীরের ভারসাম্য বুঝতে সমস্যা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রেও রাকিং ক্ষতিকারক হতে পারে।