রোজের ব্যস্ততায় জিমে গিয়ে ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় যদি না হয়, তা হলেও চিন্তা নেই। ওজন কমানো ও শরীরের গড়ন ধরে রাখার জন্য জিমই একমাত্র উপায় নয়। ব্যায়ামের আরও অনেক পদ্ধতি আছে। সে সব পদ্ধতি শিখিয়ে দিলেন শিল্পা শেট্টির বোন শমিতা। শিল্পার মতো শমিতাও ‘ফিটনেস ফ্রিক’। প্রায়শই নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শরীরচর্চা করার নানা পদ্ধতি শেখান তিনি। শমিতা জানিয়েছেন, কার্ডিয়ো বা স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের নাম শুনলেই আতঙ্কে ভোগেন অনেকে। ভাবেন, ভারী যন্ত্রপাতি তুলে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে। তা কিন্তু একেবারেই নয়। শরীরের বিভিন্ন পেশির কসরত করতে বেশি জটিল ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। বরং কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ় করা যায় বাড়িতেই। পদ্ধতি খুবই সহজ।
জিমে না গিয়ে কী ভাবে হবে কার্ডিয়ো?
সবচেয়ে সহজ উপায় সিঁড়ি ভাঙা। শমিতা শেখালেন, সারা দিনে সময় করে অন্তত পাঁচ বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই কার্ডিয়ো হয়ে যাবে। এতে শরীরের সমস্ত পেশির স্ট্রেচিংও হবে, সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হবে।
চিকিৎসকেরা প্রায়ই বলেন, শুধু ওজন কমানো নিয়ে না ভেবে, শারীরিক সুস্থতার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। তার জন্য এমন শারীরিক কসরত করা প্রয়োজন, যা ক্যালোরি তো কমাবেই, পাশাপাশি শরীর সতেজ ও তরতাজা রাখবে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার অভ্যাস পেশির শক্তি বাড়ায়, শরীরের বল বৃদ্ধি করে। তবে তার নিয়ম আছে। কী সেই নিয়ম? পাঁচ পদ্ধতি শিখিয়ে দিলেন শমিতা।
আরও পড়ুন:
১) সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার সময়ে শরীরের ভঙ্গিমা ঠিক রাখতে হবে। শরীর ঝোঁকালে চলবে না, মেরুদণ্ড সোজা, শরীর টান টান রাখতে হবে।
২) পায়ের পাতায় ভর নিয়ে ওঠানামা করলে কিন্তু হবে না। সম্পূর্ণ পায়ের পাতা সিঁড়ির ধাপে রাখতে হবে। এতে হাঁটুর উপর চাপ কম পড়বে।
৩) ধীরে এগোতে হবে। প্রথমে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় রাখুন ওঠানামার জন্য। তার পর অভ্যাস হয়ে গেলে, সময় বাড়িয়ে বার বার করুন।
৪) সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের হার স্বাভাবিক রাখতে হবে। লম্বা করে শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
৫) চটি পরে সিঁড়ি ভাঙতে যাবেন না। স্পোর্টস শু পরে নিন।
প্রথম প্রথম হাঁপিয়ে যাবেন। এক বার সিঁড়ি ভাঙার পরে বিশ্রাম নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, লিফ্ট ব্যবহার না করার। তাতেই সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস হয়ে যাবে।