ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর মতে, স্থূলতা, ডায়াবিটিসের সমস্যা, ধূমপানের মতো অভ্যাসগুলি পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ছবি: শাটারস্টক
অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অগ্যাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। চিকিৎসকদের মতে, অগ্ন্যাশয়ের কর্কট রোগ হলে সহজে চিহ্নিত করা যায় না। সাধারণত হালকা মানের জন্ডিস এই ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ। তবে জন্ডিস হলে কেউই ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে সহজে ধরা পড়ে না এই রোগ। যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। ছড়ায় মূলত ফুসফুস আর যকৃতে।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার তখনই হয়, যখন পাকস্থলীর পিছনের অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির কোষসমূহ আনিয়ন্ত্রিত হারে বেড়ে গিয়ে একটি পিণ্ড সৃষ্টি করে। আর এই ক্যানসার কোষগুলি শরীরের অন্য অংশে আক্রমণ করতে শুরু করে। ‘ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর মতে, স্থূলতা, ডায়াবিটিসের সমস্যা, ধূমপানের মতো অভ্যাসগুলি এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন হতে জেনে নিন এর প্রধান কিছু লক্ষণ।
১) পেটে ব্যথা: যে সব রোগীর এই ক্যানসার ধরা পড়ে, তাঁদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে। তীব্র পেটের যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কিছু খাওয়ার পর বা শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
২) বদহজম: খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম হলেই বদহজমের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ। তবে এই সমস্যা সাময়িক। যদি দেখেন ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝেই এই সমস্যা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। বদহজমও কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। এই প্রকার ক্যানসারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় অরুচি, সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব— এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হয়।
৩) জন্ডিস: ঘন ঘন জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিন্তু সেটি মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হন। বার বার ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘ দিন জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও মলের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে গেলেও সতর্ক হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy