কেরিয়ার, সংসার, দায়দায়িত্বের মাঝে নিজের জন্য সময় বার করা কঠিন। ব্যস্ত দিনে জিম বা যোগব্যায়ামে সময় দেওয়া যায় না। স্ন্যাকেবল এক্সারসাইজ় বা মুভমেন্ট স্ন্যাক প্ল্যান সে সমস্যা মেটাতে পারে। এর মূল কথা হল, ‘বাইট সাইজ় ডোজ়’-এ ফিট থাকা। অর্থাৎ, দুপুর বা রাতের খাবারের মাঝে যেমন স্ন্যাক্স বেছে নেওয়া হয়, তেমনই একটানা আধঘণ্টা-এক ঘণ্টা নয়, কাজের ফাঁকে কয়েক মিনিটের ব্যায়াম। শর্টবার্স্ট এমন এক্সারসাইজ় শরীর চনমনে রাখে, মনও তরতাজা করে তোলে।
কী করতে পারেন?
- সকালে বিছানাতেই করে ফেলুন এক-দুটো স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ়।
- দাঁত মাজার সময়ে দাঁড়িয়ে না থেকে সিটেড ওয়াল স্কোয়াট করতে পারেন।
- বাস বা ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়াতে হলে চটপট কাফ রাইজ় করে নিন ১০-২০ বার। সময় লাগবে বড়জোর ১৫ সেকেন্ড।
- লিফটের বদলে সিঁড়ি, বাড়ি বা অফিসে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা, কাজের মাঝে হাত, ঘাড়, কাঁধের স্ট্রেচিং করা জরুরি।
- জামাকাপড় গোছানো বা রান্নাঘরে কাজের ফাঁকে ১০-২০টা স্কোয়াট, পুশ আপ, লেগ লিফট, সাইড লাঞ্জেস, ২০-৩০ সেকেন্ড প্ল্যাঙ্ক করা যায়।
- অফিসে ডেস্কে বসেই সেরে ফেলতে পারেন সিটেড লেগ রাইজ়, ট্রাইসেপস ডিপস, গ্লুট স্কুইজ়ের মতো এক্সারসাইজ়। কাজের মাঝে ছোট্ট এক্সারসাইজ় ব্রেক নিয়ে এক মিনিটের জন্য জাম্পিং জ্যাকস, ২০-২৫ সেকেন্ড হাই নিজ়, ১০-১৫ বার আর্ম সার্কল আর ২০ বার টুইস্ট করে ফেলতে পারেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিনে ছোট বিরতি নিয়ে লেগ রাইজ়, শর্ট লেগ রাইজ়, বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ করা যায়।
- কাজের ফাঁকে ৩০-৪০ সেকেন্ড করে হাঁটাহাঁটি কিন্তু ট্রেডমিলে একটানা ৫ মিনিট হাঁটার মতোই কাজে দেবে।
উপকারিতা
মাঝেমধ্যে গোটা সপ্তাহের এক্সারসাইজ়ের রুটিনকেও এমন মুভমেন্ট স্ন্যাকে সাজাতে পারেন। তাতে সময় বাঁচবে। দৈনন্দিন কাজের মাঝে ব্যায়ামও হয়ে যাবে। দিনে কয়েক বার করলে সব মিলিয়ে ৩০-৬০ মিনিটের ব্যায়াম হবে। একটানা শারীরচর্চার বদলে এক-দু’মিনিটের ছোট ছোট ব্যায়ামে মেটাবলিজ়ম, শরীর জুড়ে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, পেশির স্টিফনেস কমে। হার্ট ভাল থাকে। হাত-পা অবশ হওয়া, কোমরে ব্যথা ইত্যাদি কমে। এনার্জি বাড়ে, মুড ভাল থাকে। মনোযোগও বাড়ে। ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। যে কোনও বয়সের মানুষই এ ভাবে কাজের ফাঁকে ব্যায়াম সারতে পারেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)