এখন বেশির ভাগ কাজের জন্যই ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। পড়াশোনা হোক বা বাজারহাট, ব্যাঙ্কের কাজ হোক কিংবা পোশাক কেনাকাটা— সব কিছুই সামলাতে হচ্ছে ফোন কিংবা ল্যাপটপের পর্দায়। অফিসে গিয়েও দীর্ঘ ক্ষণ একটানা একই জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে। এই সব কারণেই এখন ঘরে ঘরে পিঠের যন্ত্রণায় ভুগছেন মানুষজন। পিঠের ব্যথার প্রধান কারণই হল এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা। এই সমস্যা দূর করতে অনেকেই মুঠো মুঠো বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সবসময়ে ব্যায়াম করাও সম্ভব হয় না। তা হলে উপায়?
নাছোড়বান্দা এই ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও কাজ হয় না। পিঠে-কোমরে ‘হটব্যাগ’ দিলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। তা হলে এই ব্যথা সারবে কী করে? চিকিৎসকেরা বলছেন, উপায় আছে। ব্যথাবেদনাকে জব্দ করতে পারে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’।
পিঠের ব্যথা কমাবে কোন কোন তেল?
ইউক্যালিপটাস অয়েল
পিঠ-কোমরের ব্যথায় খুব আরাম দেয় ইউক্যালিপটাস অয়েল। ইউক্যালিপটাস গাছের পাতার থেকে যে তেল পাওয়া যায়, তার মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। মাংসপেশিতে ব্যথা হলে আলতো করে মালিশ করতে পারেন এই তেল। পিঠ, হাঁটুর ব্যথা, গেঁটে বাতে ইউক্যালিপটাস তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের জন্য খুব ভাল।
আরও পড়ুন:
রোজ়মেরি তেল
গাঁটে গাঁটে ব্যথা হলে রোজ়মেরি তেল লাগাতে পারেন। পেশির প্রদাহ, পেশিতে টান ধরে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে এই তেল। রোজ়মেরি তেল রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ফলে ব্যথা এক জায়গায় থমকে থাকতে পারে না।
পেপারমিন্ট তেল
যে কোনও আঘাতের কারণে ব্যথা, ক্ষত সারাতে কাজে লাগে পেপারমিন্ট তেল। ব্যথার জায়গায় এই তেল মালিশ করলে প্রদাহ কমে যায় চটজলদি। ব্যথার জায়গায় শীতল অনুভূতি এনে দেয় এই তেল। পেপারমিন্ট তেলের নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্যথা তাড়াতাড়ি কমে যেতে পারে।