Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Epilepsy

জীবনধারায় অল্পবিস্তর পরিবর্তন আনলে কি মৃগীর মতো রোগ বশে রাখা যায়?

বংশে কারও মৃগী থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ সঞ্চারিত হতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ু কিংবা গঠনগত কোনও সমস্যা থাকলেও কিন্তু এই রোগ হানা দিতে পারে।

Strategies to manage epilepsy through lifestyle changes

জ্ঞান হারালেই আতঙ্ক নয়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২০
Share: Save:

ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, দাম্পত্য কলহ, মদ্যপান— জীবনে এ সব থেকেই যায়। ফলে স্নায়ুর উপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। দিনের পর দিন এমন শারীরিক এবং মানসিক এই চাপ সামাল দিতে না পারলে মস্তিষ্ক মাঝে মধ্যে কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে পারে। সুস্থ মানুষ হঠাৎ করেই জ্ঞান হারাতে পারেন। যদিও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মানেই কিন্তু মৃগী নয়। এপিলেপসি বা মৃগী হলে হাত-পায়ে টান, খিঁচুনিও হতে দেখা যায়।

কারা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন?

কেউ মৃগীতে আক্রান্ত হতে পারেন কি না, তা আগে থেকে বলা মুশকিল। চিকিৎসকেরা বলছেন, বংশে কারও মৃগী থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ সঞ্চারিত হতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ু কিংবা গঠনগত কোনও সমস্যা থাকলেও কিন্তু এই রোগ হানা দিতে পারে। তাই নিরাময় করতে গেলে আগে রোগ নির্ণয়ে জোর দিতে হবে। মৃগীর সঙ্গে লড়াই করতে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জীবনধারায় পরিবর্তন আনাও জরুরি।

১) ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হলে এই ধরনের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোনোর অভ্যাস করা জরুরি। রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। কাজের মাঝে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিতে পারলেও ভাল হয়।

২) মৃগী রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক শর্ত হল নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া। যাঁদের স্নায়ুর সমস্যার কারণে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তাঁদেরও এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও ভাবেই ওষুধ খেতে ভুলে গেলে চলবে না।

Strategies to manage epilepsy through lifestyle changes

নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে শারীরবৃত্তীয় কাজগুলিও সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়। শরীরের পাশাপাশি মানসিক চাপও বশে থাকে।

৪) মৃগী থাকলে অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খেতে বারণ করা হয়। কারণ, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় অ্যান্টি-এপিলেপ্টিক ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে।

৫) মৃগী নিয়ে অনেকের মনেই নানা রকম কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস রয়েছে। প্রথমেই বলে রাখা ভাল, মৃগী জিনগত, ছোঁয়াচে নয়। তাই কারও যদি খিঁচুনি হয় বা হঠাৎ করে কেউ জ্ঞান হারান, তখন ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা না করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE