ফিট থাকার তাগিদ কারও বেশি, কারও কম। ছিপছিপে সুঠাম চেহারা পেতে চান সকলে, অথচ পরিশ্রম করার ব্যাপারে পিছপা। কিন্তু এই বিষয়েই সতর্ক করলেন দক্ষিণী ছবির তারকা শিম্বু ওরফে শিলাম্বরাসন টিআর। ৪২ বছর বয়সে তাঁর ফিটনেস দেখে চমকে যান অনুরাগীরা। ভক্তেরা বলেন, ‘‘তাঁর দেহ যেন স্থাপত্যশিল্প’’। কিন্তু সর্বদা তাঁর চেহারা এত সুঠাম ছিল না। ২০২০ সালে হঠাৎ তাঁর শারীরিক বদল দেখে হতবাক হয়ে যান সিনেপ্রেমীরা। এক বারে ৩০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন তামিল নায়ক। তার পর থেকেই তাঁর ফিটনেসের রুটিন, খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে কৌতূহলী অনেকে।
সম্প্রতি তিনি জানান, তাঁর ফিটনেসের মূলমন্ত্র হল, ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, অর্থাৎ যা করছেন, যা খাচ্ছেন, সেটিই চালিয়ে যাওয়া, এবং সংযম। শিম্বুর কথায়, ‘‘এই বয়সে আমরা যা খুশি তা-ই খেতে পারি। কিন্তু ফিট হতে সময় লাগে। আপনি যদি ফিট না হন, তবে তা হয়তো তৎক্ষণাৎ কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। কিন্তু পরবর্তী কালে এটিই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। তাই ফিট হওয়ার বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। নিজের ক্ষতি করা বন্ধ করুন।’’

ফিট থাকতে হলে রাতের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
শিম্বু সহজ একটি টোটকার কথা বললেন যা ফিট থাকতে সাহায্য করবে। রাতের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। পেটে অল্প খিদে নিয়ে ঘুমোতে যেতে হবে। তাতেই নাকি সব ঠিক হয়ে যাবে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুতে যাওয়া উচিত নয়। শিম্বুর এই টোটকার সঙ্গে পুষ্টিবিদেরা সহমত হন। পুষ্টিবিদদের মতে, রাতের বেলা খাবার হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। পাচনক্রিয়া অত সক্ষম থাকে না। ফলে অল্প খাওয়া উচিত শুতে যাওয়ার আগে। তবে এ কথাও ঠিক, অল্প মানে এমন নয় যে, পুষ্টি পেল না শরীর অথবা খিদের চোটে রাতে ঘুম ভেঙে গেল। নিজের শরীর বুঝে খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। তাতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন:
তবে শিম্বুর সকালের রুটিনও বেশ নজরকাড়া। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে যান শিম্বু। হাঁটার গতি স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। তার পর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন। আগে সপ্তাহে চার দিন জিমে যেতেন শিম্বু। এখন সপ্তাহে পাঁচ দিন করে শরীরচর্চা করেন তিনি।