Advertisement
E-Paper

কিটো ডায়েট করলে কি ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়ে যায়? ওজন ঝরানোর এই পন্থা কতটা নিরাপদ?

দ্রুত মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে চেহারা পেতে অনেকেই কিটো ডায়েট মেনে চলছেন। কোনও রকম পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট করছেন। দ্রুত মেদ ঝরাতে কার্যকরী হলেও কিটো ডায়েটের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৬
The keto diet could stop your period, here\\\'s why.

দীর্ঘ দিন কিটো ডায়েট মেনে চললে ঋতুঃস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে? ছবি: সংগৃহীত।

অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক পরার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আপনার বাড়তি ওজন? কেবল পেটেই নয়, মেদ জমছে শরীরের আনাচ-কানাচে। নিয়মিত শরীরচর্চা করার সময় না পাওয়ায় ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ডায়েটের উপর। ইদানীং কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। দ্রুত মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে চেহারা পেতে অনেকেই এই ডায়েট মেনে চলছেন। কেউ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে, কেউ আবার কোনও রকম পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট করছেন। দ্রুত মেদ ঝরাতে কার্যকরী হলেও কিটো ডায়েটে রয়েছে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কিটো ডায়েটে একেবারে এড়িয়ে চলতে হয়। পরিবর্তে পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রোটিন এবং বেশি করে ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে বলা হয়। মূলত ফ্যাট গলিয়েই শক্তির ঘাটতি মেটায় শরীর। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীর যে বিশেষ মেটাবলিক পর্যায়ে চলে যায় তাকেই চিকিত্সার ভাষায় কিটোসিস বলে। আর সেই থেকেই এই ডায়েটের নাম হয় কিটো ডায়েট। শরীর যখন কিটোসিস অবস্থায় থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়। যে কারণে ওজন কমতে খুব বেশি সময় লাগে না।

তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া সঠিক নিয়ম মেনে এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ না করলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত, মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, ঘুম কমে যাওয়া, চুল পড়া, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিটো ডায়েট শুরুর প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ ঝুঁকি কম হলেও দীর্ঘমেয়াদি কিটো করলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো, পেশিতে টান, পেটের সমস্যা, আলসার, কিডনিতে স্টোন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগও হতে পারে।

The keto diet could stop your period, here's why.

কিটো ডায়েট করা কি নিরাপদ? ছবি: সংগৃহীত।

মহিলাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন কিটো ডায়েট মেনে চললে ঋতুঃস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া এই ডায়েট কখনওই করা উচিত নয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, এপিলেপসি বা মৃগী রোগীদের চিকিত্সার জন্য গবেষণার মাধ্যমে কিটো ডায়েটের আবিষ্কার করা হয়। কিটো ডায়েট করলে দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব হলেও খুব বেশি দিন সেই ওজন ধরে রাখা যায় না। ডায়েট বন্ধ করে দিলেই ওজন আবার বেড়ে যেতে পারে। এই ডায়েটে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি হয়। এই ডায়েটের ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু খেতে পারি না আমরা। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বড়ই মন চায়। ফলস্বরূপ মানসিক অবসাদেও ভুগতে পারেন মানুষ। উদ্বেগের কারণে মহিলাদের শরীরে হরমোনাল ডিসব্যালেন্স তৈরি হয়, যা ঋতুচক্রের উপরেও পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে।

কিটো ডায়েট যদি করতেই হয়, তা হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই করা ভাল। নেটমাধ্যমের উপর ভরসা করে কোনও ডায়েটই করা উচিত নয়।

Diet Keto Diet Keto Diet Side-effects Periods
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy