বাঙালির মিষ্টিপ্রেম চিরকালীন। খুশির মুহূর্ত হোক কিংবা মনখারাপ, মিষ্টি সমস্ত পরিস্থিতিরই সঙ্গী হতে পারে। তবে ইদানীং অবশ্য ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ইচ্ছা না হলেও মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে হয়। শুধু তো মোটা হয়ে যাওয়ার চিন্তা নয়, সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও থাকে। বিজয়ার মিষ্টিও যদি বাদ পড়ে, তা হলে কি আর ভাল লাগে? যদি ডায়াবিটিস থাকে বা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তা হলে বানিয়ে নিন চিনি ছাড়া কয়েক রকম মিষ্টি।
ডায়াবিটিসেও খেতে পারেন কোন কোন মিষ্টি?
মাখানার ক্ষীর
প্রোটিন,ক্যালশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মাখানা দিয়ে যদি পায়েস বানান, তা খেতে হবে একদম বাঙালি বাড়ির ক্ষীরের মতোই। তবে তা হবে আরও স্বাস্থ্যকর। এই ক্ষীর খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এর জন্য কড়াইতে এক চামচ ঘি গরম করে এক কাপ মতো মাখানা ভাল করে রোস্ট করে নিন। এর পর চামচ দিয়ে ভাল করে মাখানাগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে নিন। এর সঙ্গে চার কাপের মতো দুধ মিশিয়ে ভাল করে ফোটান। ১৫-২০ মিনিট কম আঁচে ফোটালে পায়েস ঘন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
বেকড বেসন লাড্ডু
কড়াইতে তেল বা ঘি দিয়ে বেসন ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। তবে, ঘি বা তেলের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। বেসনের মধ্যে স্বাদের জন্য দিন সামান্য থেঁতো করা এলাচ। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন শুকনো খোলায় নেড়ে নেওয়া কাজু, কাঠবাদামের কুচি। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়িয়ে নিন। মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য দিতে পারেন স্টিভিয়ার গুঁড়ো। এ বার গোল করে লাড্ডুর আকার দিয়ে নিলেই হবে।
চিয়া পুডিং
চিয়া পুডিং ডায়াবিটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় একটি দারুণ জিনিস হতে পারে। চিয়া বীজ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়াও, চিয়া পুডিংয়ে থাকে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন পুষ্টিগত উপাদান।