ডায়েট করে রোগা হতে পারছেন না। এ দিকে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। ক্লান্তি, ঝিমুনি যেন ছাড়তেই চায় না। আপনি হয়তো ভাবছেন, পছন্দের খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়েও কেন লাভ হচ্ছে না। আসলে যতই খান না কেন, কী কী রোজ খাচ্ছেন ও কতটা পরিমাণে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরেই নির্ভর করবে শরীর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পাচ্ছে কি না। যদি পুষ্টির ঘাটতি হয়, তা হলে সেই উপসর্গও দেখা দিতে থাকবে। এমন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে, যা সাধারণই মনে হবে। অথচ সেই সব লক্ষণই জানান দেবে, ঠিক কোন কোন ভিটামিন ও খনিজের অভাব হচ্ছে।
কোন কোন লক্ষণে বোঝা যাবে শরীর পুষ্টি পাচ্ছে না?
নখ ভাঙছে
নখের যত্নে খামতি নেই, অথচ সেই নখই ভেঙে যাচ্ছে যখন তখন। নখের রং ফ্যাকাশেও হয়ে যাচ্ছে। নখ ভেঙে যাওয়া মানেই শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন ও আয়রন পাচ্ছে না। তাই বেশি করে ডিম, মাছ, চর্বি ছাড়া মাংস, সবুজ শাকসব্জি খেতে হবে।
চোখের পাতা কাঁপা, পেশিতে টান
চোখের পাতায় আচমকা কাঁপুনি অনেকেরই হয়। আবার হঠাৎ দেখলেন, হাত বা পায়ের পেশিতে টান ধরে গেল। ভাবতেই পারেন, একটানা কম্পিউটার দেখছেন বা বসে আছেন বলে হয়তো এমন ঘটছে। সেটিও যেমন কারণ, তেমনই শরীরে যদি ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হয়, তা হলে পেশি ও স্নায়ুর খিঁচুনি হবেই। এই খনিজ পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য করে। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে বাদাম, নানা রকম বীজ, কলা, ওট্স, ডালিয়ার মতো দানাশস্য খেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
হাড়ে ‘কট কট’ শব্দ
উঠতে বসতে গেলে যদি হাড়ে ‘কট কট’ শব্দ হয় অথবা শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা বাড়ে, তা হলে বুঝতে হবে, ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের অভাব হচ্ছে। হাড় দুর্বল হয়ে পড়ছে। ভিটামিন ডি-এর জন্য গায়ে রোদ লাগাতে হবে। পাশাপাশি, দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে উদ্ভিজ্জ দুধ, যেমন সয় মিল্ক, কাঠবাদামের দুধ খেতে পারেন।
বয়সের আগেই চুল পাকছে
বয়সের আগেই পাকা চুল জানান দেবে শরীরে ভিটামিন বি১২ ও জ়িঙ্কের অভাব হচ্ছে। ভিটামিন বি১২ চুলের গোড়ায় থাকায় মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় রাখে, মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর ঘাটতি মেটাতে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, মাছ ও নানা রকম বাদাম খেতে হবে।
সামান্য কাটলেই রক্ত বেরোতে থাকে
হাত-পায়ের ছাল উঠে যাওয়া, সামান্য কাটলেই রক্ত পড়া বন্ধ না হওয়া ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে১-এর ঘাটতির লক্ষণ। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বড় ভূমিকা নেয়। আর ভিটামিন কে১ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এদের ঘাটতি মেটাতে পেয়ারা, কমলালেবু, আঙুর, লেবু জাতীয় ফল ও প্রচুর শাকসব্জি খেতে হবে।