শীতের দিনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক কমে যায়। অল্প ঠান্ডাতেই জ্বর, সর্দি-কাশিতে কাবু হন অনেকেই। এখন তো আবার নিউমোনিয়ার দাপাদাপি বেড়েছে। পেটের গোলমালও বেড়েছে। তাপমাত্রার পারদ যত নামবে, ততই ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার দাপট শুরু হবে। বাতাসের দূষণবাহী কণাকে আশ্রয় করে রোগজীবাণুরা ডালপালা মেলবে। ফলে শরীর অসুস্থ হবেই। তাই এই সময়ের নানা সংক্রামক ব্যাধির মোকাবিলা করতে হলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কয়েক গুণ বাড়িয়ে রাখা জরুরি। তার জন্য কোনও সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন নেই, নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ায়।
সুস্থ থাকতে ডায়েটে ৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২৫ শতাংশ প্রোটিন ও ১০ শতাংশ ফ্যাট থাকা প্রয়োজন। অল্প ভাত অথবা একটি রুটির সঙ্গে এক কাপ ভাত, আর নানা রকম সব্জি দিয়ে তরকারি, পাতলা ডালের জল, কম মশলা দিয়ে রান্না করা মাছের ঝোল অথবা চিকেন স্ট্যু খেলে পরিপূর্ণ সুষম আহারই হবে।
আরও পড়ুন:
চকোলেট, কেক, মিষ্টি ও মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন। বদলে খান রাঙাআলু, গোটাশস্য। ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রদাহ কমায়। শুধু গাজরে নয়, মিষ্টি আলুতেও আছে বিটা ক্যারোটিন। সেই সঙ্গেই খেতে হবে নানা রকম বাদাম ও বীজ। প্রাতরাশে খেতে পারেন দুধ-কর্নফ্লেক্স, অথবা এক বাটি ডালিয়ার খিচুড়ি, না হলে সব্জি দিয়ে ওট্স। দুধ হজম না হলে হাতে গড়া দু’টি গরম রুটি আর এক বাটি সব্জি খান। সঙ্গে যে কোনও একটি মরসুমি ফল। আর শীতের দিনে সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই বাড়বে। আমলকিতে এত বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাঁচাতে পারে।
ডিম খেয়ে হজম না হলে, ডিমের কেবল সাদা অংশটি দিন। হজমের সমস্যা থাকলে মাংসের থেকে মাছ খাওয়া ভাল। সব রকম ডাল ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেতে হবে। সবুজ শাকসব্জি বেশি খেতে হবে। দিনে একটি বা দু'টি খেজুর খেলে উপকার হবে। পেয়ারায় ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এই উপাদান পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। পেটের গোলমাল কমাতেও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায় পেয়ারা থেকে। হজমের গোলমাল কমাতেও পেয়ারা উপযোগী। রোজের ডায়েটে একটি করে পেয়ারা খেলেও উপকার হবে।