পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে। তবু ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি কাটতে চাইছে না। শরীরের উপর একটানা ধকল গেলে সেই ক্লান্তি দূর করার জন্য দীর্ঘ বিশ্রাম কিংবা বিরতির প্রয়োজন হয়। তা না হলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। আবার, শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলেও অনেক সময়ে অবসন্ন লাগে। তবে কারণ যা-ই হোক, ক্লান্তি দূর করতে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। কোন খাবারগুলি নিয়মিত খেলে ক্লান্তি কেটে স্ফূর্তি আসবে শরীরে?
আরও পড়ুন:
১) কলা:
কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬-এর উৎস হল কলা। শরীরচর্চা কিংবা গরমে সারা দিন কাজকর্ম করে যদি খুব ক্লান্ত লাগে, তা হলে কয়েকটা কলা খেয়ে নিন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর কলা পেট তো ভরাবেই, তরতাজা ভাবও ফিরিয়ে আনবে।
২) ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেটে থেরোব্রোমাইন ও ক্যাফিন থাকে। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দিতে এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। তাই ক্লান্ত লাগলে মুখে ডার্ক চকোলেট পুরে দিলেই হবে মুশকিল আসান।
৩) ইয়োগার্ট:
ইয়োগার্ট বা জল ঝরানো বেশি প্রোটিন-যুক্ত দই এমনিতেই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এর সঙ্গে যদি মধু ও বেরি মিশিয়ে নেন, তা শরীরের জন্য আরও বেশি উপকারী হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন:
৪) অঙ্কুরিত ছোলা, বাদাম:
শরীরে চনমনে ভাব ফিরে পেতে ভিটামিন বি, সি, এবং ই-যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এই সব ক’টি ভিটামিন রয়েছে অঙ্কুরিত ছোলা, বাদাম, বীজ বা দানাশস্যে। স্প্রাউটের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন এবং প্রোটিন রয়েছে, যা পেশির ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে।
৫) ড্রাই ফ্রুটস:
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। খিদে পেলে ভাজাভুজি না খেয়ে কাঠবাদাম, কিশমিশ,আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ড্রাই ফ্রুটে ৩৫৯ ক্যালোরি থাকে। শরীরে আয়রনের চাহিদা মেটাতেও দারুণ উপকারী ড্রাই ফ্রুটস।