দ্রুত ওজন ঝরাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটেও নজর রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করার কোনও বিকল্প নেই। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রোগের সঙ্গে লড়াই করা— সত্যিই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে রোজ জিমে যাওয়ার সময় বার করা মুশকিল। আর নিয়ম করে শরীরচর্চা না করলে ওজন ঝরানো মুশকিল। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে তাই শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটেও নজর রাখতে হবে বইকি। তবে নেটমাধ্যম থেকে দেখে নয়, পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করুন। কোন কোন ডায়েট করলে দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব, রইল হদিস।
কিটো ডায়েট
কিটো ডায়েট প্ল্যানে বেশি কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে খেতে হবে পরিমাণ মতো প্রোটিন এবং বেশি করে ফ্যাট জাতীয় খাবার। মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তা সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই। মূলত ফ্যাট বার্ন করেই শরীরে শক্তির ঘাটতি মিটবে। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীর যে বিশেষ মেটাবলিক পর্যায়ে চলে যায়, তাকেই চিকিৎসার ভাষায় কিটোসিস বলে। শরীর যখন কিটোসিস পর্যায়ে থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়, যে কারণে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এই ডায়েট মেনে চললে আপনার খিদে কমে যায়। এই ডায়েট শুরু করার প্রথম সপ্তাহে আপনি দুই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরাতে পারবেন।
ড্যাশ ডায়েট
সাধারণত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুষ্টিবিদরা ড্যাশ ডায়েট করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এই ডায়েটে মূলত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। সাধারণ দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি নুন খাওয়া যায় না এই ডায়েটে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া। মূলত গোটা শস্য, মাছ, পোলট্রির ডিম আর মাংস, বাদাম বেশি করে খাওয়া যায়। এই ডায়েটে চিনি, মিষ্টি পানীয় ও রেড মিট একেবারেই বন্ধ রাখতে হয়। এই ডায়েট মেনে চললে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
এই ডায়েটের ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। শরীরের চাহিদা বুঝে উপোসের সময়কাল ১০ থেকে ১৮ ঘণ্টা এমনকি, ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতরাশ বা মধ্যাহ্নভোজ শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। এই ডায়েটে খুব বেশি খাদ্যের উপর বিধি-নিষেধ থাকে না। তাই বলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কখনওই আপনার ওজন কমবে না। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস প্রয়োজন। এই ডায়েট চলাকালীন প্রচুর শাকসব্জি, মাছ-মাংস এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়। আপনি যতটা পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, সেই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হচ্ছে কি না, সেটাও লক্ষ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy