কেবল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়, পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর দীর্ঘ দিন ধরে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকার নানাবিধ পন্থা নিয়ে কাজ করছেন এবং পরামর্শ দিচ্ছেন। সম্প্রতি যাপন সহায়িকা রুজুতা নিজের ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, যেখানে যোগাভ্যাস করার সময়ে ঘটে থাকা সাধারণ তিনটি ভুল নিয়ে কথা বলেন তিনি।
রুজুতার মতে, যোগাসন শুধু শরীরচর্চা নয়, মন ও শরীরের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার এক কার্যকরী কৌশল। কিন্তু অনেকেই অনুশীলনের সময় কিছু ভুল করে ফেলেন, যেগুলি তাঁদের অজান্তেই স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদ রুজুতা সেই তিনটি ভুলের কথাই উল্লেখ করলেন নিজের ভিডিয়োতে।
১. সব সময় এক পাশ থেকে শুরু করা
অনেকেই যোগাভ্যাস শুরু করেন ডান পাশ দিয়ে। কারণ, সে দিকটিকে জোর বেশি থাকে অনেকের। আবার যাঁদের বাঁ দিক বেশি সক্রিয়, তাঁরা কেবল ডান দিক থেকে শুরু করেন। কিন্তু এই ভুলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে শরীরের এক পাশ শক্তিশালী হয়, অন্য পাশ দুর্বল থেকে যায়। তাই কখনও ডান পাশ থেকে, কখনও বাম পাশ থেকে শুরু করুন। এমনকি বাবু হয়ে বসার সময়ও পায়ের ভঙ্গি পাল্টে নিন। এতে শরীর সমানভাবে শক্তিশালী হবে। ভারসাম্য বজায় থাকবে।
যোগাসন শুধু শরীরচর্চা নয়, মন ও শরীরের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার এক কার্যকরী কৌশল। ছবি: সংগৃহীত।
২. শুধু নিজের পছন্দের আসন করা
যে আসন করতে স্বচ্ছন্দ, কেবল সেই আসন অনুশীলন করতে থাকলে পূর্ণ উপকার মিলবে না। যোগের আসল উপকার পেতে হলে কঠিন বা নতুন আসনও করতে হবে। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তবেই শরীর ও মন আরও সক্রিয় হবে।
৩. সময় না পেলে একেবারেই না করা
অনেকেই ভাবেন, যোগাভ্যাসের জন্য অনেকটা সময় প্রয়োজন, কিন্তু অত সময় হাতে থাকে না কোনও কোনও দিন। তাই সে দিন বাদ চলে যায় যোগাসন পর্ব। কিন্তু যদি ১০–১৫ মিনিটও পান, সেটুকুকেও কাজে লাগানো উচিত। রুজুতা বলছেন, ধরা যাক, ‘‘১২টি সূর্য নমস্কার অভ্যাস করার সময় নেই, তা হলে ১২টিই বাদ দেবেন না। বদলে ৬ বার বা ৩ বার করুন। তাতেও উপকার মিলবে। গুরুত্বপূর্ণ হল, নিয়মিত অভ্যাস বজায় রাখা।’’ তা ছা়ড়া কেবল প্রাণায়াম করছেন, অথচ আসন করছেন না, তাতে কাজ হবে না। প্রাণায়ামের পাশাপাশি আসনও করতে হবে। আবার আসনের পাশাপাশি মাসে এক বার অন্তত প্রাণায়ামও করতে হবে।
যোগাসনের সময়ে আর যা যা মাথায় রাখা দরকার—
· নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। জোর করে করতে গেলে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।
· আসনের আগে ও পরে ওয়ার্ম-আপ ও কুল-ডাউন না করলে শরীরের পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
· যোগকে শুধু ব্যায়াম ভেবে করলে পূর্ণ উপকার পাওয়া যায় না। আনন্দ করে অভ্যাস করতে হবে।