দুধ খেলেই পেটের সমস্যা। গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যায় জেরবার হতে হয়। কিন্তু দুধ না খেলেও তো বিপদ! দুধের মতো পুষ্টিকর পানীয় আর দু’টি নেই। দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি। হাড়, দাঁত ভাল রাখার জন্য এই দু’টি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। পেশি মজবুত রাখতে প্রয়োজন প্রোটিনের, যা দুধে মেলে। এ ছাড়াও শারীরবৃত্তীয় উপকারের জন্য বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় দুধ থেকে। দুধ খেলে পেটে নানা রকম সমস্যা হয় বলে অনেকেই দুধ এড়িয়ে চলেন। দুধ খেলেই পেটের সমস্যা হওয়ার কারণ কী? পুষ্টিবিদদের মতে, ভুল দুধ বাছাই করলে কিন্তু পেটের সমস্যা হতেই পারে।
বাজারে সাধারণত দু’ধরনের গরুর দুধ পাওয়া যায়। এ ১ আর এ ২। গরুর দুধ হলেও দুই ধরনের বিটা কেসিন নামক প্রোটিনের উপস্থিতির কারণেই এ ১ আর এ ২ দুধের গুণাগুণ বদলে যায়। বিটা কেসিন দু’ ধরনের হয়। এ ১ আর এ ২।
সাধারণত দেশি গরু যেমন গির, সহিওয়াল, থারপারকার, সিন্ধি থেকে এ ২ দুধ পাওয়া যায়। এই সব গরু সাধারণত এক দিনে ৮-১০ লিটারের বেশি দুধ দেয় না। অন্য দিকে, বাণিজ্যিক দুগ্ধ উৎপাদন সংস্থাগুলিতে মূলত সংকর প্রজনন পদ্ধতিতে গরু প্রতিপালন করা হয়। হাইব্রিড গরু বা বিদেশি গরুর থেকে মূলত এ ১ দুধ পাওয়া যায়। এ ১ দুধে থাকে এ ১ বিটা কেসিন আর এ ২ দুধে থাকে এ ২ বিটা কেসিন। এ ১ দুধ হজমের সময় শরীরে বিসিএম ৭ নামক যৌগ নিঃসৃত হয়। এই যৌগের কারণেই দুধ খাওয়ার পর পেট ফাঁপার সমস্যা হয় অনেকের। এ ২ দুধে এই যৌগের পরিমাণ তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। তবে দুই ধরনের দুধের পুষ্টিগুণ কিন্তু সমান।
যাঁদের দুধ খেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের মতো সমস্যা হয়, তাঁরা এ ২ দুধ খেয়ে দেখতে পারেন। সাধারণত এ ২ দুধের দাম এ ১ দুধের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অনলাইন শপিং সাইটগুলিতে কোথাও কোথাও এ ২ দুধ লিটার প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আবার অনেক সাইটে গির গরুর এ ২ দুধ লিটার প্রতি ৫০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
দুধ খেয়ে গ্যাসের সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?
১) ঠান্ডা দুধ খাবেন না। দুধ গরম করে তবেই খান।
২) দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদগুঁড়ো, এলাচগুঁড়ো বা সামান্য ঘি মিশিয়ে খেলেও তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৩) দুধের সঙ্গে টক, নোনতা খাবার খাবেন না।