সারা দিন অফিস করে ক্লান্তি ভাব কাটছে না। ব্যক্তিগত জীবনেও চিন্তা-উদ্বেগের শেষ নেই। সব কিছু সামাল দিয়ে পুজোর ক’টা দিন ছুটিতে ঝিমুনি ভাব আরও বাড়বে। পুজোয় যদি ঘোরাঘুরি, খাওয়াদাওয়া জমিয়ে করতে চান, তা হলে পেশির জোর বৃদ্ধি করতে হবে। ক্লান্তি কাটে এমন কিছু ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করা জরুরি। অতিরিক্ত ব্যস্ততা বা বাড়ির কাজ গুছোতে গুছোতেই নিজের দিকে তাকানোর যাঁরা সময় পান না , তাঁরা সারা দিনের মধ্যে স্রেফ ২০ মিনিট বার করুন। ওই ২০ মিনিটের শরীরচর্চাতেই অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরবে, শরীর চনমনে হবে।
ক্লান্তি কাটাতে কোন কোন ব্যায়াম করবেন?
সুপ্ত মৎস্যেন্দ্রাসন
প্রথমে শবাসনে শুয়ে পড়ুন, হাত দু’পাশে টানটান থাকবে। এ বার ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে, বাঁ পা মাটির সঙ্গে টানটান করে রাখুন। বাঁ হাত দিয়ে ডান হাঁটুটিকে ধরে আপনার বাঁ দিকে নিয়ে যান। অর্থাৎ, শরীরের বাঁ দিকে মোচড় দিন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই ভঙ্গিমায় ১ থেকে ১০ গুনুন। আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
অঞ্জনেয়াসন
ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রাখতে হবে। দুই হাত রাখুন কোমরে। প্রথমে ডান পায়ের পাতাটি শরীরের ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে রাখুন। গোটা শরীরটাকেই ধীরে ধীরে ডান দিকে ঘুরিয়ে নিন। ডান হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করে শরীরটাকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসুন। ডান পায়ের পাতা থাকবে মাটিতে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ পা প্রসারিত করতে হবে। তবে পিছন দিকে। শ্বাস নিতে নিতে দু’হাত মাথার উপরের দিকে তুলুন। দু’টি হাতের তালু একসঙ্গে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন মাথার ঠিক উপরে। এই অবস্থানে থাকতে হবে ৩০ সেকেন্ড। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে স্বাভাবিক ভাবেই।
মালাসন
প্রথমে মাটিতে বসুন। পিঠ যেন টান টান থাকে। তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে, হাঁটু মুড়ে উবু হয়ে বসুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করুন। প্রণাম করার ভঙ্গিতে দু’টি হাত এমন ভাবেই রাখবেন যেন দু’টি কনুই দুই হাঁটু স্পর্শ করতে পারে। টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।