প্রত্যেক দিন দাঁত মাজার মাধ্যমে আমাদের দিন শুরু হয়। সাধারণত ব্রাশ দিয়েই আমরা দাঁত মাজি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই ব্রাশকেই আমরা বিশেষ পাত্তা দিই না। দেখা যায়, অনেকেই মাসের পর পর মাস একই ব্রাশ ব্যবহার করছেন। এর ফলে নানা সমস্যা হতে পারে।
পুরনো ব্রাশ ত্যাগ করুন
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ দাঁত মাজতে পুরনো ক্ষয়ে যাওয়া টুথব্রাশই ব্যবহার করেন। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে দাঁত তথা মুখের ভিতরের অংশের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। ব্রাশ যত পুরনো হয়, ততই তাঁর দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে দীর্ঘ সময় খাবার জমে দাঁতে ক্ষয় শুরু হতে পারে। টুথব্রাশের বিস্লগুলি সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে যায়। কখনও তা আরও ধারালো হয়ে ওঠে। এই ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করলে অজান্তেই মুখের মধ্যে ছড়ে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আবার মুখের মধ্যে ক্রমাগত ক্ষত সৃষ্টি হলে, সেখানে আলসার তৈরি হতে পারে। এ ধরনের ব্রাশ দিয়ে দীর্ঘ দিন জোরে জোরে দাঁত মাজলে এনামেলের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়াও বেশির ভাগ সময়েই টুথব্রাশের ক্ষেত্রে কোনও ঢাকা ব্যবহার করা হয় না। ফলে সময়ের সঙ্গে ব্রাশের ব্রিস্লে নানা ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধে। সেই ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজলে সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। অনেক সময়ে সর্দিকাশি থেকে সেরে ওঠার পর পুরনো টুথব্রাশ থেকে পুনরায় শরীরে সংক্রমণ হতে পারে।
কী ধরনের টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সাধারণত নরম ব্রিস্ল-যুক্ত ব্রাশ দাঁতের পক্ষে ভাল। বাজারের কোনও পরিচিত কোম্পানির তৈরি টুথব্রাশই কেনা উচিত। সে ক্ষেত্রে ব্রিস্লের গুণগত মান বজায় থাকে। বাচ্চাদের জন্য তৈরি টুথব্রাশের ব্রিস্ল অত্যন্ত নরম হয়। এই ধরনের টুথব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।
কত দিন অন্তর নতুন টুথব্রাশ
চিকিৎসকদের মতে, প্রতি দুই থেকে তিন মাস অন্তর একটি টুথব্রাশের পরিষ্কার করার ক্ষমতা প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাই তিন থেকে চার মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। এর ফলে ব্রিস্লের ক্ষতি হবে না। আবার ব্রাশে কোনও ক্ষতিকারণ জীবাণুও বাসা বাঁধতে পারবে না।