পেট ঠান্ডা হবে, পেটের যাবতীয় গোলমাল কমবে। শরীরের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে লাউ। গরমের দিনে এর চাহিদা বেশি থাকে বটে, তবে এর গুণের কদর সবসময়েই হয়। রক্ত পরিস্রুত করা থেকে ত্বক-চুলের যত্ন, কোলেস্টেরল কমানো থেকে হার্ট ভাল রাখা — সবেতেই কাজ করে এই সব্জি। নিয়মিত লাউয়ের রস খেলে উপকার হয় আরও অনেক।
ইদানীং ওজন বেড়ে যাওয়া অনেকেরই মাথাব্যথার বড় কারণ। খাওয়াদাওয়ায় ও জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে শরীরের আনাচেকানাচে জমছে মেদ। ব্যায়াম বা ডায়েট মেনে খাবার, নিদেনপক্ষে রোজ নিয়ম মেনে একটু হাঁটাহাঁটি— এটুকু না করতে পারলে অবাধ্য মেদকে জব্দ করা কঠিন। সপ্তাহে এক দিন লাউয়ের রস খেলে শরীর ‘ডিটক্স’ হয়, অর্থাৎ শরীরের দূষিত পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। লাউয়ের রস এমনি খেতে হয়তো ভাল লাগবে না, তাই এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর সঙ্গে লেবুর রস, পুদিনা পাতা ও সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে লাউয়ের রসে বেশি নুন বা চিনি দিলে এর উপকারিতা কমে যাবে। লাউয়ের রস খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। হৃৎস্পন্দনের হার অনিয়মিত হবে না। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তা-ও কমবে।
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বাড়তি মেদ জমতে দেয় না শরীরে। লাউয়ের রসের সঙ্গে যদি আদার রস মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে গলা-বুকজ্বালার সমস্যা দূর হতে পারে। লিভারের যে কোনও জটিল অসুখের ঝুঁকিও কমে।
যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য লাউয়ের রস খুবই কার্যকরী হতে পারে। শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে লাউয়ের রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই সব্জি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লাউয়ের রস খেলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ অনেক কমে যায়। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কমে। ফলে মন ভাল থাকে।