বাঙালির গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যেন চিরন্তন। মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খেয়েও সমস্যার সমাধান হয় না। খাওয়াদাওয়া একটু বেশি হলেই পেট ভার, পেট ফাঁপার সমস্যা ভোগায়। সেই সঙ্গে গলা-বুক জ্বালা তো আছেই। গ্যাসের সমস্যা না কমালে এখান থেকেই দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগ। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা না করলেও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। রোজের এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে বিশেষ কিছু যোগাসন।
কোন কোন আসন অভ্যাসে অম্বল কমে যাবে?
সেতুবন্ধাসন
ম্যাটের উপরে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত দু’পাশে রাখুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে পা মুড়ে দুই পায়ের পাতা নিতম্বের কাছে আনুন। পিঠ ও কোমরের উপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে কোমর উপরে তুলুন। ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ডের মতো থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। পেটে ব্যথা, কোমরের যন্ত্রণা দূর করতে পারে এই আসন। নিয়মিত অভ্যাসে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূর হবে।
আরও পড়ুন:
অধোমুখ শবাসন
অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ়’। নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে পেশির জোর বাড়বে এবং অম্বলের সমস্যা দূর হবে। প্রথমে হাত ও হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো ভঙ্গি করুন। হাতের তালু মাটিতে থাকবে, পিঠ উপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। দেখতে লাগবে অনেকটা ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো। মাথা যতটা সম্ভব মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হবে। এই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
বালাসন
সবচেয়ে আরামদায়ক একটি যোগাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দুটি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। প্রতি দিন এটা করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।