পুজোর আগে আগে জিমে ভর্তি হয়েছেন। কেউ রোগা হওয়ার আশায়, কেউ আবার শুধুমাত্র ফিট হতেই ভর্তি হচ্ছেন জিমে। তবে অফিসের ব্যস্ততার কারণে কিংবা সংসারের হাজার কাজ সামলে নিয়ম করে জিম করার সময় নেই। এ দিকে, পুজোর আগে একটু ফিট না হলেই নয়। বাড়িতে আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন অভ্যাস করুন। কেবল রোগা হতেই নয়, শরীরের নানা সমস্যার সমাধান কিন্তু দূর হতে পারে নিয়ম করে যোগাসন করলে। তলপেটে, কোমর ও ঊরুর মেদ চটজলদি কমাতে হলে রোজ অভ্যাস করুন অর্ধ শলভাসন।
সংস্কৃত শব্দ ‘শলভ’-এর অর্থ পঙ্গপাল। আসনটির অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গিমা মাথা নিচু করে পা উপরের দিকে তুলে পঙ্গপালের মতো দেখতে। তাই এমন নামকরণ।
অর্ধ শলভাসন কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুতে হবে। পা দু’টি একসঙ্গে টানটান করে রাখুন।
২) এ বার দুই হাত রাখুন দুই ঊরুর নীচে, হাতের তালু উপরের দিকে মুখ করে থাকবে।
৩) ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে প্রথমে বাঁ পা উপরের দিকে তুলুন। হাঁটু যেন ভাঁজ হয়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। ডান পা সোজা থাকবে।
৪) এই অবস্থানে ২০ সেকেন্ড থেকে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নীচে নামান। নিতম্ব যেন একই জায়গায় থাকে।
আরও পড়ুন:
৫) একই পদ্ধতিতে শ্বাস নিতে নিতে ডান পা উপরে তুলুন। একই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে পা নামিয়ে নিন।
৬) দুই পায়ে পর্যায়ক্রমে আসনটি করতে হবে। রোজ তিন থেকে চার সেট করে করলে উপকার পাবেন।
উপকারিতা
১) অর্ধ শলভাসন করলে পেটের মেদ তাড়াতাড়ি ঝরে যাবে।
২) কোমর ও নিতম্বের পেশির জোর বাড়বে।
৩) নিয়মিত আসন অভ্যাসে প্যারা সিম্প্যাথেটিক স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়বে। পিঠ ও কোমরে ব্যথা থাকলে, তা দূর হবে।
৪) প্রতি দিনের অভ্যাসে সায়টিকার ব্যথা দূর হবে।
৫) আসনটি রোজ অভ্যাস করলে হজমের সমস্যা দূর হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
কারা করবেন না?
স্লিপ ডিস্কের সমস্যা থাকলে আসনটি করবেন না।
হার্টের রোগ থাকলে এই আসন করা যাবে না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।