অফিসে একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে বসে কাজ করে কোমরে ব্যথায় এখন অল্পবয়সিরাও ভুগছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন কেউ কেউ। বিশেষ করে যাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের জীবনে শোয়া-বসা-চলার মতো পিঠের ব্যথাও যেন প্রাত্যহিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যথা যখন অল্পসল্প সমস্যা করছে, তখন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেন অনেকে। কিন্তু যখন ওষুধ আর কাজ করে না এবং ব্যথাও ক্রনিক হতে শুরু করে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। তবে ব্যথা যদি চিরতরে নির্মূল করতে হয়, তা হলে মল লাগিয়ে বা ওষুধ খেয়ে কাজ হবে না। নিয়মিত অভ্যাস করতে হবে কিছু আসন। যার মধ্যে একটি হল পার্শ্বকোণাসন।
পার্শ্বকোণাসনের নানা ভঙ্গিমা আছে। সহজ পদ্ধতি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এই আসন রোজ সকালে অভ্যাস করলে সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে, পাশাপাশি পিঠ, কোমর ও পায়ের ব্যথাবেদনাও কমবে। তলপেটের নাছোড় মেদ নিয়ে যাঁরা নাজেহাল, তাঁরা মেদ ঝরাতেও নিয়মিত অভ্যাস করতে পারেন এই আসন।
কী ভাবে করবেন পার্শ্বকোণাসন?
১)ম্যাটের উপর দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান রেখে দাঁড়ান।
২) ডান পা ৯০ ডিগ্রি কোণে মুড়ুন ও বা পাঁ আরও কিছু প্রসারিত করুন।
৩) ডান হাতটি ডান পায়ের হাঁটুর উপর রাখুন।
৪) এর পর বাঁ হাতটি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে।
৬) পা বদলে আবারও অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
১) মেরুদণ্ডের জোর বৃদ্ধি করে এই আসন।
২) নিয়মিত অভ্যাসে পেশির জোর বাড়বে, হাত-পায়ের পেশি নমনীয় হবে।
৩) মেদ ঝরবে, সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে।
৪) হজমশক্তি বাড়বে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে।
৫) সারা শরীরের ভারসাম্য রাখতে নিয়মিত অভ্যাস করতে পারেন এই আসন।
কারা করবেন না?
পিঠে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি অভ্যাস করতে যাবেন না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার বা হাঁটু প্রতিস্থাপন হলে আসনটি করা যাবে না।