বাজারে প্যাকেটজাত খাবারের প্যাকেটের গায়ে, সেই খাবারের গুণমান বিষয়ক তথ্য দেওয়া থাকে। একে বলা হয় ‘ফুড লেবেল’। অনেক সময়েই কোনও প্যাকেটের গালে লেখা থাকে ‘সুগার ফ্রি’। অর্থাৎ সেই খাবারে চিনি নেই। আবার কোনও প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতে পারে ‘নো অ্যাডেড সুগার’। অর্থাৎ এই খাবারে অতিরিক্ত চিনি নেই। অনেকেই দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেখা থাকলেও সেই খাবারে শর্করার পরিমাণ না জানলে ডায়েটে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন:
পার্থক্য কোথায়?
‘সুগার ফ্রি’ এবং ‘নো অ্যাডেড সুগার’— উভয় ক্ষেত্রেই প্যাকেটজাত খাবারে চিনি থাকেই। প্রথম ক্ষেত্রে খাবারে চিনির পরিমাণ থাকে সামান্য। চামচ প্রতি খাবারে সেখানে ০.৫ গ্রাম চিনি থাকতে পারে। যেমন কর্নফ্লেক্স। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে খাবারটি প্রক্রিয়াজাত করার সময় কোনও অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম সুইটেনার ব্যবহার করা হয়নি। তবে ক্ষেত্রে খাবারে সামান্য পরিমাণে শর্করা থাকলেও তা প্রাকৃতিক বলেই ধরে নেওয়া হয়। যেমন ফল বা দুগ্ধজাত খাবার। উল্লেখ্য, ‘সুগার ফ্রি’ এবং ‘নো অ্যাডেড সুগার’-এর মাত্রা এবং অর্থ বিভিন্ন দেশ অনুয়ায়ী ভিন্ন হতে পারে।
কতটা নিরাপদ
‘নো অ্যাডেড সুগার’-এর অর্থ ওই খাবারে অতিরিক্ত শর্করা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে শর্করা থাকতে পারে। যেমন কোনও ফলের রস। এই ধরনের খাবার বেশি খেলে অনেক সময়েই পেটের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা ডায়াবিটিস, হার্ট বা কিডনির রোগে আক্রান্ত, তাঁদের ডায়েটের ক্ষেত্রে ‘নো অ্যাডেড সুগার’-এর অর্থ স্পষ্ট হওয়া কাম্য।
কী ভাবে বোঝা যাবে
ফুড লেবেল দেখে সহজেই অতিরিক্ত চিনি খাবারে রয়েছে কি না, তা জানা সম্ভব। সেই খাবারে মোট কী পরিমাণ চিনি কয়েছে, তা জানতে লেবেলে ‘টোটাল সুগার’ বিভাগটি দেখতে হবে। তা হলে সেই খাবারে কতটা প্রাকৃতিক শর্করার আন্দাজ পাওয়া যাবে। ফল, মিষ্টি, ফলের রস, সিরাপের মতো খাবারে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই বেশি থাকে।