একনাগাড়ে বৃষ্টি। রোদের দেখা প্রায় নেই বললেই চলে। এ দিকে জামাকাপড় শুকোনো দায়। রোজের কাজে যাওয়ার জন্য ধোয়া জামা পরা যেন বিলাসিতার পর্যায়ে পৌঁছে যায় এই সময়ে। আর তখন বাধ্য হয়েই অনেকে ভেজা তোয়ালে দিয়ে গা মুছে নেন, অথবা হালকা ভেজা বা একই অন্তর্বাস পরেন। তাড়াহুড়োর সময়ে হয়তো এক মাত্র উপায় এটিই, কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে ত্বকে এবং শরীরে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং দীর্ঘ ক্ষণ আর্দ্রতার সংস্পর্শে থাকার ফলে সংক্রমণ হতে পারে।
ভেজা কাপড় জীবাণুর বংশবৃদ্ধি করার জন্য উপযুক্ত। যেমন ভেজা গামছা বা তোয়ালে আবার ব্যবহার করার অর্থ জানেন কি? এমন একটি কাপড় দিয়ে আপনি শরীর মুছছেন, যেটিতে হয়তো তত ক্ষণে ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকের বসবাস শুরু হয়ে গিয়েছে। স্যাঁতসেঁতে থাকা অবস্থায় অনেকে অন্তর্বাস পরে ফেলেন। এগুলি রোগজীবাণুর বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্র হয়ে ওঠে যা দাদ, ক্যানডিডিয়াসিস এবং ইন্টারট্রিগোর মতো সংক্রমণ ঘটায়। তা ছাড়া শরীরের ঢাকা অংশে যে ভাঁজ থাকে, তা অনেক ক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। অন্তর্বাসগুলি ঠিক ভাবে না শুকিয়ে পরলে ছত্রাক বৃদ্ধি পেতে পারে সেখানে। ফলে কুঁচকি, বাহুমূল অথবা স্তনের নীচে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা লালচে ভাব দেখা দেয়। ডায়াবিটিস, স্থূলত্ব বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই অভ্যাস আরও বিপজ্জনক।
৫টি সতর্কতা অবলম্বন করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন—
১. সম্ভব হলে গামছা বা তোয়ালে এবং অন্তর্বাস সব সময় সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকোতে দিন। সময় লাগলেও তাতেই অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
২. শুকোনোর সমস্যা দেখা দিলে একাধিক গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন ভারী তোয়ালের বদলে হালকা গামছা ব্যবহার করতে।
৩. সুতির অন্তর্বাস বেছে নিন, যা ঘাম শুষে নেয় দ্রুত। কাচার পর শুকোতেও বেশি সময় নেবে না।
৪. শুকোনোর পর অন্তর্বাস ইস্ত্রি করে নিন। এর ফলে যদি হালকা আর্দ্রতা থেকেও যায়, তা দূর হবে।
৫. ছত্রাক বৃদ্ধিতে বাধা দেওয়ার জন্য জামাকাপড়কে শুষ্ক, আলো-হাওয়া খেলে, এমন জায়গায় রাখুন।