ডায়েট থেকে যখন বাদ পড়বে চিনি। ছবি: সংগৃহীত।
মিষ্টি খেতে ভালবাসেন না এমন লোক কমই আছেন। খাওয়ার পর রসগোল্লা না হয় পায়েস, জিলিপি কিংবা পান্তুয়া— একটা মিষ্টি চাই-ই চাই। এ ছাড়া বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছেন, যাঁরা সচেতন ভাবে চিনি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবিটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করছেন। কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি খাওয়ার অভ্যাস। পুষ্টিবিদদের মতে, একটু সতর্ক থেকে যদি এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার বাদ দেওয়া যায়, তা হলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করতে পারবেন। জেনে নিন, এক মাস চিনি না খেলে কী কী লাভ হবে শরীরের।
১) কী ভাবে ওজন কমাবেন, সেই চিন্তাই ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হল ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করতেই ওজন ঝরবে দ্রুত। সঙ্গে অবশ্যই ডায়েট ও শরীরচর্চার দিকেও নজর দিতে হবে।
২) মানসিক চাপ, ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। চিনি ডায়েট থেকে বাদ দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।
চিনি খাওয়া বন্ধ করতেই ওজন ঝরবে দ্রুত।
৪) বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাঁদের বাতের ব্যথা আছে তাঁরা এক মাস চিনি না খেলেই তফাত বুঝতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy