Advertisement
E-Paper

তলপেটে মেদ জমছে, না লিপেডেমা? ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ কেবল অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া নয়

তলপেটে পরতে পরতে চর্বি জমা হতে শুরু করা মানেই তা সাধারণ মেদ না-ও হতে পারে। অনেকেই বলেন, কখনও তলপেটে, কখনও হাতে, আবার কখনও ঊরুতে সামঞ্জস্যহীন ভাবে মেদ জমে চলেছে। কারও পেটে বেশি চর্বি জমছে, তো কারও নিতম্বে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ ১৬:৫৪
What is the difference between normal fat and Lipedema

কেন পেট-কোমর-নিতম্বে মেদ জমছে, ডায়েটেও কমছে না? ছবি: ফ্রিপিক।

ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। শরীরচর্চা ও ডায়েট করেও যখন ওজন কমে না, তখন উদ্বেগ আরও বাড়ে। বাড়ন্ত মধ্যপ্রদেশ বড়ই যন্ত্রণার। চওড়া কোমর-নিতম্বে পছন্দের পোশাক ফিট না করলে মনখারাপ তো হয়ই। খাওয়াদাওয়া কমিয়েও যখন এই নাছোড় মেদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় না, তখন অনেকেই লাইপোসাকশন করে চর্বি ছেঁটে ফেলার চেষ্টা করেন। তলপেটের পরতে পরতে চর্বি জমা হতে শুরু করা মানেই তা সাধারণ মেদ না-ও হতে পারে। অনেকেই বলেন, কখনও তলপেটে, কখনও হাতে আবার কখনও ঊরুতে সামঞ্জস্যহীন ভাবে মেদ জমে চলেছে। কারও পেটে বেশি চর্বি জমছে, তো কারও নিতম্বে। এর কারণ কী?

‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’-এর তথ্য বলছে, শরীরের নানা জায়গায় যখন খাপছাড়া ভাবে মেদ জমতে শুরু করে, তখন তা কেবল অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জন্য হয় না। সে ক্ষেত্রে হরমোনের গোলমালই মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের মেদকে বলা হয় লিপেডেমা। ভারতীয় মহিলা ও পুরুষদের লিপেডেমায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জন জয়ন্তকুমার সাহা জানালেন, লিপেডেমাকে ঠিক স্থূলত্ব বলা যাবে না। এ ক্ষেত্রে শরীরের নানা জায়গায় চর্বির স্তর জমা হতে থাকে। বিশেষ করে শরীরের নিম্নাঙ্গে বেশি বেশি জমা হয়। পুরোটাই সামঞ্জস্যহীন ভাবে হয়। শরীরের গঠনই নষ্ট হয়ে যায়। আর এই মেদ শুধু শরীরচর্চা বা ডায়েট করে কমানো সম্ভব হয় না অনেক সময়েই।

লিপেডেমা মূলত ইস্ট্রোজেন হরমোনের তারতম্যের কারণে বেশি হয়। মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) থাকলে, অথবা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে শরীরের নিম্নভাগে মেদ জমতে শুরু করে। কারও হাতে বা পিঠেও অস্বাভাবিক চর্বি জমে যায়। শরীরের যে অংশে চর্বির স্তর জমা হয়, সেখানে পেশিতে টান ধরে। খিঁচুনিও দেখা যায় অনেকের।

চিকিৎসক জানাচ্ছেন, সাধারণ মেদ গোটা শরীরে জমে, ওজন বেড়ে যায়। আর লিপেডেমা খাপছাড়া ভাবে নানা জায়গায় জমা হয়। সে ক্ষেত্রে লাইপোসাকশন সমস্যার সমাধান হতে পারে। ওজন কত, কতটা মেদ জমেছে, সব কিছুর উপর নির্ভর করেই লাইপোপ্লাস্টি অথবা লাইপেকটমি সার্জারি করা হয়। এ সবই কসমেটিক সার্জারি, যা বেঢপ চেহারাকে নির্দিষ্ট মাপে আনতে পারে। শরীরের নির্দিষ্ট অংশ অসাড় করে, অর্থাৎ লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেশি জায়গার মেদ বার করতে হলে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়। আল্ট্রাসাউন্ড-অ্যাসিস্টেড এবং লেজ়ার অ্যাসিস্টেড লাইপোসাকশনও আছে। সব ক’টিই খুব কার্যকরী পদ্ধতি। তবে লিপেডেমা সত্যিই হয়েছে কি না বা লাইপোসাকশন করা নিরাপদ কি না, তা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারেন। যদি কেউ থাইরয়েড, রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ খান, তা হলে সে ক্ষেত্রে লাইপোসাকশন সম্ভব না-ও হতে পারে। যিনি করাবেন তাঁর অনেকগুলি টেস্ট আগে করিয়ে নেওয়া হয়। তাই নিজে থেকে এই সব করাতে যাওয়া ঠিক হবে না।

fat Weight Gain Obesity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy