ঝাল খেতে সাময়িক ভাল লাগলেও এ স্বাদের রেশ সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
শীতের আবহে রোজের খাওয়াদাওয়ায় একটু বদল আসে। ঠান্ডা আবহাওয়ার একটু মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। এই সময়ে কমবেশি অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। জ্বরের মুখে ঝাল ঝাল কোনও খাবার যেন স্বর্গ মনে হয়। কিন্তু ঝাল খেতে সাময়িক ভাল লাগলেও এ স্বাদের রেশ সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। ঝালের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। সামলে উঠতে ঢক ঢক করে খানিকটা জল খেয়ে নেন। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কোনও খাবার খেয়ে প্রচণ্ড ঝাল লাগলে জল না খাওয়াই ভাল। তবে জলের বদলে আর কোন পানীয় খাওয়া যেতে পারে?
দুধ
অনেকেই হয়তো জানেন না ঝাল কমাতে জলের চেয়েও উপকারী পানীয় হল দুধ। কারণ, মশলাদার ঝাল খাবারে ক্যাপাসাইসিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। স্নায়ুর মাধ্যমে সঙ্কেত পেয়ে স্বাদকোরক গ্রন্থিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে এই ক্যাপাসাইসিন। অন্য দিকে, দুধে রয়েছে কেসিন। যা ক্যাপাসাইসিনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে।
টক দই
মেদ ঝরানো থেকে ঝাল কমানো— সবেতেই সিদ্ধহস্ত টক দই। ঝাল কমাতে এই দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঝাল কোনও খাবার খেয়ে এক চামচ টক দই খেয়ে নিতে পারেন। দইয়ে থাকা উপকারী উপাদান মুখের ভিতরে একটা স্তর তৈরি করে। যা ঝালের সঙ্গে লড়াই করে।
লিকার চা
মশলাদার খাবার খেয়ে ঝালের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত? সুস্থ হতে কিন্তু চুমুক দিতে পারেন চায়ের কাপে। চায়ে থাকা ট্যানিন ক্যাপাসাইসিনের সক্রিয়তা ধীরে ধীরে কমাতে থাকে। তবে এই সময়ে খুব গরম চা খাওয়ার দরকার নেই। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে ঈষদুষ্ণ গরমজলে চা ফুটিয়ে নিতে পারেন। উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy