সুগার-প্রেশারের সমস্যা একটা সময়ে বয়সকালেই হত। কিন্তু এখন ডায়াবিটিস যেন নীরব ঘাতক হয়ে উঠেছে। ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে এই রোগ। রেহাই পাচ্ছে না ছোটরাও। শিশু ও কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবিটিসের হার বেড়েছে অনেকটাই, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সমীক্ষা জানিয়েছিল, কম বয়সি ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে ছোট থেকেই ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে আক্রান্তদের। আইসিএমআরের সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে, দেশে গত তিন দশক ধরে ডায়াবিটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
ছোটদের ডায়াবিটিস হলে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব কঠিন ব্যাপার। ছোটরা ভালমন্দ খেতে চাইবেই। তাই জোর দিতে হবে শরীরচর্চায়। এমন কিছু ব্যায়াম আছে, যেগুলি অভ্যাস করাতে পারলে ছোটদের ডায়াবিটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মণ্ডুকাসন
প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে বসতে হবে। অর্থাৎ, হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের উপর বসতে হবে। এ বার খানিকটা হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে মাটিতে উপুড় হতে হবে। দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করতে হবে। দুই পা দু’পাশে ছড়াতে হবে যেন, ঊরু এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করে থাকে। দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো লাগবে। থুতনি, বুক, পেটও মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে। ৩০ সেকেন্ড করে ৩ সেটে করতে হবে এই ব্যায়াম।
আরও পড়ুন:
শশঙ্কাসন
হাঁটু ভাঁজ করে ম্যাটের উপর বসতে হবে। অর্থাৎ, বজ্রাসনে বসতে হবে। এই অবস্থায় পিঠ, ঘাড় ও মাথা এক সরলরেখায় টানটান থাকবে। দু’হাত হাঁটুর উপর রেখে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে নিতে হবে। এর পর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটুর সামনে মাটিতে মাথা ঠেকাতে হবে। এ বার দু’হাত প্রথমে সামনে ছড়িয়ে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখতে হবে, পরে পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করতে হবে। এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:
সিটেড পবনমুক্তাসন
মাটিতে দুই পা টানটান করে রেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে। দুই হাত থাকবে কোলের উপরে। প্রথমে ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বুকের কাছে আনার চেষ্টা করতে হবে। এ বার দুই হাত দিয়ে পা যতটা সম্ভব বুকের কাছে চেপে ধরে রাখতে হবে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথা হাঁটুর কাছে আনতে হবে। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থেকে আবার পা নামিয়ে নিতে হবে। অন্য পায়েও একই ভাবে আসনটি করতে হবে।