গরমে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখবেন কোন উপায়ে? প্রতীকী ছবি।
এখনকার ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। অতিরিক্ত ওজন শরীরে তো বটেই, মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর থেকে বাঁচতে জিমে নিয়মিত ঘাম ঝরানো বা খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেওয়া সবার জন্য সঠিক সমাধান নয়। সমাজমাধ্যমে দেখে ডায়েট করলে বিপরীত প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। অথচ ঘরোয়া মশলার উপযুক্ত প্রয়োগেই কিন্তু আপনার ওজন কমতে পারে এবং চেহারা হতে পারে সুঠাম। নিয়মিত মৌরি খাওয়া আয়ুর্বেদ মতেও বিশেষ উপকারী। সকলের হেঁশেলেই মৌরি পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রদেশের রান্নায় এর ব্যবহারও হয়। কিন্তু মৌরির বিভিন্ন ব্যবহারে আপনার অতিরিক্ত ওজনও অল্প দিনেই হ্রাস পেতে পারে। ভাবছেন, কী ভাবে?
মৌরি ভেজানো জল পান করলে তা দেহের মেদ কমাতে সাহায্য করে। সারা রাত মৌরি জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে এটি পান করা যেতে পারে। এটি শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের শোষণের হার বাড়াতে সহায়ক। খাবার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে এই জল খেলে পেট ভরা থাকে, খুব বেশি খাওয়ার ইচ্ছে হয় না। বিপাকহারও বাড়ে, ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কেবল ওজন ঝরানোই নয়, মৌরির রয়েছে আরও অনেক গুণ...
১) মৌরি অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটব্যথা এবং বদহজম প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রকে সহজ, স্বাভাবিক রাখে। তা শরীরকে তার যথাযথ আকারে ধরে রাখতে বিশেষ সহায়ক। মৌরির গুঁড়োয় থাকা ইস্ট্রাগোল, ফেনকোন এবং অ্যানিথোলের উপস্থিতির কারণে এটি গ্যাস্ট্রিক উৎসেচক নিঃসরণে সহায়তা করে। আরও ভাল হয়, যদি এর সঙ্গে মেথির গুঁড়ো, মিছরি আর বিটনুন মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া সম্ভব হয়। গরমের দিনে এই পানীয় বেশ আরাম দেয় শরীরে।
২) মৌরিতে থাকা নাইট্রাইট হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা ঠেকাতেও মৌরির জুড়ি মেলা ভার। শরীরে রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে মৌরি।
৩) সন্তানের জন্মের পর স্তন্যের ক্ষরণ বাড়াতেও মৌরি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মৌরিতে থাকা আয়রন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে প্রসবের পর মহিলাদের শরীর চাঙ্গা রাখতেও সাহয্য করে।
৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টাইপ-২ ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণেও মৌরির ভূমিকা আছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে মৌরি।
৫) শরীর গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করতে মৌরি-মিছরির জল খেতে বলতেন ঠাকুরমা-দিদিমারা? একদম ঠিকই বলতেন। এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ মৌরি ও মিছরি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই জল খান। গরমে সুস্থ থাকার দাওয়াই এই পানীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy