হালের বহু গবেষণাই বলছে, নানা কারণে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মানসিক চাপ, তেমনই বিশ্রামের অভাব। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস দ্রুত হারে কমাতে থাকে শুক্রাণুর উৎপাদন। ফলে কমে প্রজননক্ষমতা। তবে ডায়েটে কিছু খাবার বেশি মাত্রায় রাখতে পারলে পুরুষরা কিন্তু বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে যৌনজীবন ভাল করার দাওয়াই হিসাবে অভিনেতা বরুণ ধবনের মুখে শোনা গিয়েছিল অশ্বগন্ধার নাম। এই দাবি কি আদৌ ঠিক?
অশ্বগন্ধার মধ্যে যৌন উদ্দীপক যৌগ থাকে। সেই যৌগের ফলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে যৌনশক্তিও বৃদ্ধি পায়। শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধিতেও এই ভেষজের ভূমিকা আছে। শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই বাবা হতে পারেন না। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী এই দাওয়াইতে শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বাড়ে।
আর কী কী কাজে আসে অশ্বগন্ধা?
১) অফিসের অত্যধিক কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, প্রতিযোগিতার টানাপড়েন— নানা কারণে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ, উদ্বেগ দূর করতে অশ্বগন্ধা বেশ উপকারী। নিয়মিত এই ভেষজটি ডায়েটে রাখলে মানসিক চাপ কমে।
২) অশ্বগন্ধা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ যা প্রদাহ কমাতে এবং শরীরের বিপাকহার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিপাকহার বাড়লেই ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে।
৩) অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও অশ্বগন্ধার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
কী ভাবে খাবেন?
এক চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ঈষদুষ্ণ জলে গুলে দশ মিনিট রেখে তার পর সেই পানীয় খেয়ে ফেলুন। দিনে এক থেকে দু’বার এই পানীয় খেতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমোনোর আগে গরম দুধে এক চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। বাজারে অশ্বগন্ধার ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। সেটিও খাওয়া যেতে পারে।