রাতের দিকে ইতিমধ্যেই হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। বাজারে দেখা মিলছে শীতের সব্জির। শীতের মরসুমে দেখা মেলে এমন একটি সব্জির যার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ডায়াবিটিস রোগীদের পথ্য। শিম বাটা থেকে শিম সর্ষে, বাঙালির রান্নাঘরের বহু রান্নাতেই এর অবাধ বিচরণ। কেউ কেউ আবার মাছের ঝোল কিংবা পাঁচমিশালি নিরামিষ ঝোলেও শিম দেন।
শিমে রয়েছে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ। ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বহু খনিজে ভরপুর শিম। তার সঙ্গেই রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন। ফলে নিয়মিত শিম খেলে নানা দিক থেকে উপকার হয় শরীরের। যে হেতু শিমে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি, তাই এগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী হতে পারে। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার খুব ধীরে ধীরে পাচিত হয়। ফলে এক ধাক্কায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। তা ছাড়াও শিমে ডেইডজেইন এবং জেনিস্টেইন নামের ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ রয়েছে। এগুলি এমন উপাদান, যা ইনসুলিনের প্রতি কোষের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বহু খনিজে ভরপুর শিম। ছবি: শাটারস্টক।
শুধু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণই নয়, এ ছাড়াও হরেক গুণ রয়েছে শিমের। কী কী উপকার পাওয়া যায় শিম খেলে?
১) রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
২) প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৩) ফাইবার বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শিম। হার্টের রোগীদের জন্য এই সব্জি খাওয়া ভাল।
৫) চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই সব্জি নিয়ম করে খাওয়া যেতে পারে।