Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Cancer Prevention

বিশ্ব ক্যানসার দিবস: রোজের কোন কোন অভ্যাস অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যানসারের ঝুঁকি?

শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের ভয় ততই বড় আকার নেবে। তাই কিছু অভ্যাসে রাশ টানতে পারলে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়।

শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের ভয় ততই বড় আকার নেবে।

শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের ভয় ততই বড় আকার নেবে। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৭
Share: Save:

শরীরের যত্ন নিতে আমরা কত কিছুই না করি! কখনও ত্বক পরিচর্যার জন্য অনেক টাকা খরচ করি কখনও আবার ওজন কমাতে মেনে চলি কড়া ডায়েট। তবে ক্যানসারের বিষয় কি আমারা আদৌ সতর্ক? কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে থাকেন, যা কোনও না কোনও ভাবে ক্যানসার ডেকে আনায় সহায়ক হয়! অনেক সময় জেনেবুঝেও সেই ভুল করে বসি আমরা। কখনও বা ক্যানসারের বীজ ছড়িয়ে পড়ার কথা না জেনেই সেই সব কাজ রেখে দিই রুটিনে। শরীরের কোনও কোষ অপ্রতিরোধ্য ভাবে বিভাজিত হতে শুরু করলে তাকেই ক্যানসার বলেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের মতে, নানা কারণেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এই মারণরোগ। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে তা দৈনন্দিন অভ্যাস ও কিছু কাজের হাত ধরেও শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের ভয় ততই বড় আকার নেবে। তাই কিছু অভ্যাসে রাশ টানতে পারলে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়।

কী সে সব অভ্যাস, যা উস্কে দেয় ক্যানসারের প্রবণতা?

১) প্যাকেটবন্দি মাছ, মাংস, সস, বেকন, সালামি, হ্যাম, সসেজ খেতে সকলেই কমবেশি ভালবাসেন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকদের মত মানলে দেখা যায়, এগুলোকে গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন ও গ্রুপ ২এ কার্সিনোজেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অত্যধিক পরিমাণে এ সব খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

২) সিগারেটের অভ্যাস ছাড়তে অনেকেই ই-সিগারেট ব্যবহার করেন। ভেবে থাকেন, এতে কম ক্ষতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ই-সিগারেটেও সমান ক্ষতি হয়। সাধারণ বিড়ি-সিগারেট ও ই-সিগারেট— সব ক্ষেত্রেই শরীরে ঢুকে পড়ে নিকোটিন ও কার্বন। ক্যানসার দানা বাঁধার সব রকম উপাদান এতে মজুত। তাই ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে সব রকম ধূমপানই বর্জন করতে হবে। তামকজাত পদার্থগুলি এড়িয়ে চলুন।

৩) সাধারণ কোনও প্লাস্টিকের বোতলে গরম জল রাখলে বা প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করলে অথবা পাত্রগুলিকে ডিটারজেন্টে ধুলে বিসফেনল বা বিপিএ যৌগমুক্ত হয়। পরে খাবার ও পানীয়ের মধ্যে দিয়ে বিপিএ মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। বিপিএ-র জন্য স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগের জন্যে দায়ী হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চললেই ভাল।

দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চললেই ভাল।

দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চললেই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।

৪) বাড়তি ওজনও কিন্তু ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই ওবিসিটির সমস্যা থাকলে ওজন কমানোর চেষ্টা করতেই হবে। নইলে কিন্তু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে।

৫) করোনা আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস করিয়েছে। করোনার দাপট কমতেই সেই অভ্যাস প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। কেবল করোনা থেকে বাঁচতেই নয়, বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতেও রাস্তায় বেরোলে নিয়মিত মাস্ক পরার অভ্যাস করুন। ধূমপানই নয় শুধু, ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ কিন্তু দূষণ। তাই সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক পরুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cancer prevention Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE