কাজ করতে আলস্য, মধ্যাহ্নভোজের পর ঝিমুনি— চাঙ্গা থাকতে কফিতে চুমুক। এক-দুই বার নয়, ঘন ঘন। এমন অভ্যাস থাকে অনেকেরই। কফির গুণ কিছু কম নয়। দ্রুত স্নায়ুকে চাঙ্গা করে। শরীরও ভাল রাখে।
তবে এমস এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করা চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি বলছেন, কফি খাওয়ার সময় সাধারণ ভুলেই পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসক সমাজমাধ্যমে এমন নানা পরামর্শ দেন। তিনি কফি খাওয়ার বেশ কয়েকটি অভ্যাসকে ভুল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
খালি পেটে: অনেকেরই দিন শুরু হয় চা অথবা কফি দিয়ে। খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস থেকেই অম্বল, বদহজম হতে পারে। এমনকি, নিয়মিত খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাসে গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি
পায়। চিকিৎসকের পরামর্শ, কফি খেতে হবে কিছু খেয়ে। প্রাতরাশের পরে।।
চিনি: দুধ, চিনি, ক্রিম দিয়ে কফি খেতে ভাল বটে, তবে অভ্যাসটি নয়। চিনিতে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়। ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি এতে হজমের সমস্যাও হতে পারে। ক্রিমেও বাড়তি ফ্যাট থাকে। নিয়মিত খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়বে।
রাতে খাওয়া: রাতের দিকে কফি খাওয়ার অভ্যাসও খুব ক্ষতিকর। এতে ঘুমের চক্র বিগড়ে যায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আগে শেষ কফিটি খেতে হবে। কম ঘুম হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হবে। লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয় যাওয়ার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে।
কৃত্রিম চিনি: ইদানীং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকে কৃত্রিম চিনি খান। তবে সেগুলি কতটা কাজের, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। চিকিৎসক পরামর্শ দিচ্ছেন এই অভ্যাস বাদ দেওয়ার জন্য ।
হালকা রোস্ট: কফি বীজ কতটা রোস্ট করা হচ্ছে, তার উপর গুণ, স্বাস্থ্য নির্ভর করে বলে অনেকে মনে করেন। কারও কারও ধারণা, হালকা রোস্ট করা কফি পেটের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকর নয়। তবে এই ধারণায় ভেসে কাপের পর কাপ কফি খেতে বারণ করছেন চিকিৎসক।
চার কাপ: দুধ-চিনি ছাড়া কালো কফি দিনে বড় জোর চার কাপ খাওয়া যেতে পারে। এক দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের চেয়ে বেশি মাত্রায় কফি খেলে কর্টিসলের (হরমোন)মাত্রা আচমকা বেড়ে গিয়ে পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। পেটে অস্বস্তি শুরু হতে পারে।
একই সঙ্গে, কফি খেলে দিনভর যথেষ্ট পরিমাণে জল খেতেও বলেন পুষ্টিবিদেরা।