Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হনুমান জয়ন্তীতে কী ভাবে পুজো করলে সমস্যা দূর হবে

সূর্যদেব ও কাশ্যপমুনির করুণায় বিভিন্ন শাস্ত্র পাঠ, অগাধ জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন হনুমানজি। এঁর উপাসনায় বিদ্যালাভের বাধা দূর হয়। কালক্রমে জ্ঞানলাভ হয় বিভিন্ন শাস্ত্র ও পুরাণে।

পার্থপ্রতিম আচার্য
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

সূর্যদেব ও কাশ্যপমুনির করুণায় বিভিন্ন শাস্ত্র পাঠ, অগাধ জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন হনুমানজি। এঁর উপাসনায় বিদ্যালাভের বাধা দূর হয়। কালক্রমে জ্ঞানলাভ হয় বিভিন্ন শাস্ত্র ও পুরাণে।

শক্তি, বিদ্যা, বিনয়, দক্ষতা, সংস্কৃতি, আনুগত্য, উপস্থিত বুদ্ধি, প্রচেষ্টায় সাফল্য, ধর্মে অনুরাগ, ত্যাগ, ভক্তি, অগাধ বিশ্বাস, অনুপ্রেরণা, জীবনের বিনিময়ে অন্যের মঙ্গল করার ইচ্ছা, অফুরন্ত সাহস, উদারতা, এই সবই হনুমানজির সহজাত গুণ। এই সবই সহজে নয়, অনায়াসে ও অতি সহজে লাভ করা যায় তাঁর শরণাগত হলে, নিত্য উপাসনায়।

এখন দেখে নেওয়া যাক হনুমান জয়ন্তীতে কী ভাবে পুজো করবেন:

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাদিন কিছু খাওয়া যাবে না, এমনকি জল পর্যন্তও না। একান্ত না পারলে শুধু ডাবের জল চলবে। সূর্য অস্তে গেলে ফলমূল কিনতে যাওয়া যাবে না। পোকা খাওয়া আর পচা না হলেই হল, এক ছড়া কলা, তাতে যে কটাই থাক না কেন, ছড়া ভাঙা হলে চলবে না। কোনও মন্দিরে হনুমানজিকে নিবেদন করে, অথবা ঘরে বিগ্রহ কিংবা ছবিতে শ্রদ্ধা ও ভক্তি সহকারে নিবেদন করে প্রসাদ পাওয়া যেতে পারে। পেট ভরানোর জন্য কলা-প্রসাদ ছাড়াও অন্য যে কোনও ফল খাওয়া চলবে। জলের পরিবর্তে খেতে হবে ডাবের জল।

এ ছাড়াও আর কী কী করা উচিত দেখে নেওয়া যাক:

আরও পড়ুন: ধনু রাশি ও লগ্নের আত্মীয়স্বজন কেমন হতে পারে​

১। এই দিন সকালে হনুমান চালীসা পাঠ করতে পারেন। সুস্বাস্থ্য ও শক্তির জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। বলা হয়, উদ্যম ফিরিয়ে এনে সব অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন তিনি।

২। এই দিনে হনুমান মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ দিতে পারেন। লাড্ডু ও লাল সিঁদুর নিয়ে মন্দিরে যাওয়া উচিত। হনুমানজিকে বস্ত্রও দিতে পারেন, তবে সেটা হতে হবে লাল বা কমলা রঙের।

৩। এই দিনে পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা জানাতে পারেন।

৪। এই নির্দিষ্ট দিন শ্রীরামচন্দ্রের যে কোনও মন্দিরেও প্রার্থনা করতে যেতে পারেন। কারণ ভগবান শ্রীরামের সঙ্গেই থাকেন হনুমানজি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য- তুলসীদাসের কথায় শনি ও মঙ্গলবার হনুমান চালীসা এবং সঙ্কটমোচন হনুমান অষ্টক পাঠ করে হনুমানজির পুজো করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চিন্তাশক্তিতে স্বচ্ছতা আসে। অসম্ভব উৎসাহ বাড়ে কাজে। একমাত্র মহারাষ্ট্রে শনিবার, বাকি সারা ভারতে হনুমানজির পুজো করা হয় শনি ও মঙ্গলবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lord Hanuman life Rashi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE