কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভাগ্য যেমন তাঁর রাশির উপর নির্ভর করে, তেমনই নির্ভর করে তাঁর গণের উপরও। মানুষের জীবনের নানা বিষয় বিভিন্ন ভাবে রাশি ও গণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। গণের উপর নির্ভর করে মানুষের জীবনের অনেক কিছু বলা সম্ভব হয়। শাস্ত্রমতে, তিন ধরনের গণ হয়। নর গণ, রাক্ষস গণ ও দেব গণ। মানুষের গণের বিচার সব সময় কোষ্ঠীর নক্ষত্র অনুযায়ী হয়। এক জনের জন্মছকে কোন কোন নক্ষত্রের উপস্থিতি রয়েছে সেটির উপর বিচার করে উক্ত মানুষের গণ বিচার করা হয়।
আরও পড়ুন:
গণ সংক্রান্ত বহু ভ্রান্ত ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। এরই মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল রাক্ষস গণ ও নর গণের বিবাহ সুখের হয় না। এই দুই গণের মানুষদের মধ্যে বিয়ে হলেই নাকি সেই সম্পর্ক টেকে না বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু এমন কোনও ব্যাপার নেই। কেবল গণের জন্য কোনও সম্পর্কে ভাঙন ঘটে না। দেব গণের সঙ্গে দেব গণের বিয়ে হলেও বিচ্ছেদ হতে পারে। সবটাই নির্ভর করে জন্মছকে থাকা আরও নানা গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের উপর। সর্বোপরি, বিয়ে হল দু’টি মনের মিলন। সেই মিলনে যদি কোনও ছেদ আসে, তা হলে সেই সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতেই পারে। শাস্ত্র বলছে, বিশেষ কিছু অবস্থায় নর ও রাক্ষসের বিয়ে দেওয়া যায় এবং সেই সম্পর্ক সুখেরও হয়।
আরও পড়ুন:
কোন কোন ক্ষেত্রে নর ও রাক্ষসের বিবাহিত জীবন সুখের হওয়া সম্ভব?
১. পাত্র-পাত্রীর রাশিগত দূরত্ব যদি পঞ্চম ঘরের হয়, তা হলে তাঁদের বিয়ে সম্ভব। অর্থাৎ, পাত্র নর গণ এবং তাঁর রাশি মেষ। অন্য দিকে, পাত্রীর রাক্ষস গণ এবং রাশি সিংহ। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে বিয়ে হলে সংসার সুখের হবে।
২. নর ও রাক্ষস গণের তরুণ-তরুণীর রাশিগত দূরত্ব যদি নবম ঘরের হয় তা হলেও তাঁদের মধ্যে কোনও দোষ থাকে না। বিয়ের পর কোনও সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন:
৩. পাত্রের গণ রাক্ষস, রাশি বৃষ এবং পাত্রীর গণ নর, রাশি কর্কট হলেও বিয়ে সম্ভব। অর্থাৎ, রাশিগত দূরত্ব যদি তিন ঘরের হয় তা হলেও কোনও সমস্যা হয় না।
৪. পাত্র-পাত্রীর মধ্যে রাশিগত দূরত্ব যদি সাত ঘরের হয়, তা হলেও নর ও রাক্ষসের বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না।
৫. এ ছাড়াও, দু’জনের রাশির অধিপতি গ্রহও যদি এক হয়, সে ক্ষেত্রেও বিবাহ পরবর্তী জীবনে কোনও প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।