রুদ্র কথার অর্থ হল শিব, অক্ষ কথার অর্থ হল চোখের জল। বিশ্বাস করা হয়, শিবের চোখের জল থেকে সৃষ্টি হয়েছে রুদ্রাক্ষের। পুরাণ অনুযায়ী, দীর্ঘ তপস্যার পর শিব যখন নিজের চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। যেখানে তাঁর অশ্রুবিন্দু পড়ে সেখানে একটা রুদ্রাক্ষের গাছ উৎপন্ন হয়। মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয় জিনিস রুদ্রাক্ষ। শ্রাবণে রুদ্রাক্ষ ধারণে বিশেষ ফল লাভ করা যায়। আগামী ৪ অগস্ট, বাংলায় ১৮ শ্রাবণ রুদ্রাক্ষ ধারণের শুভ দিন রয়েছে। রুদ্রাক্ষ ধারণে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, অর্থের সমস্যাও দূর হয়। কিন্তু এই বস্তু ধারণের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায় মেনে রুদ্রাক্ষ পরলে তবেই ভাল ফলপ্রাপ্তি হয়। নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নিন নিয়মগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
শ্রাবণে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
- ৪ অগস্ট, সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণের বিশেষ তিথি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দিন সম্ভব না হলেও, শ্রাবণের শেষ সোমবারেও রুদ্রাক্ষ পরতে পারেন।
- রুদ্রাক্ষের জপমালা ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিলে খেয়াল রাখতে হবে সেটিতে যেন অন্তত ২৭টি রুদ্রাক্ষ থাকে। এই সংখ্যার থেকে কম রুদ্রাক্ষ থাকলে হবে না।
আরও পড়ুন:
- রুদ্রাক্ষ মালা পরার আগে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরা আবশ্যক।
- রুদ্রাক্ষ কেনার পরই সেটিকে ধারণ করে নেওয়া যাবে না। কিনে আনার পর সেটিকে লাল কাপড়ে মুড়ে শিবের কাছে রাখতে হবে। তার পর সেটি-সহ মহাদেবের পুজো করতে হবে।
- এর পর সেটিকে হাতে তুলে নিয়ে গঙ্গাজলে ধুতে হবে। তার পর ‘ওম নমঃ শিবায়।।’ মন্ত্রপাঠে রুদ্রাক্ষ মালাটি জপ করতে হবে। এর পর নিজের মনের বাসনা জানিয়ে, মহাদেবকে স্মরণ করে মালাটি গলায় পরে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
এই সকল উপায় মেনে রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারলে মহাদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। কোনও দুঃখ-দুর্দশা কাছে ঘেঁষতে পারে না।