Advertisement
E-Paper

ঠাকুরকে নৈবেদ্য দিচ্ছেন? সঠিক নিয়ম মেনে দিচ্ছেন তো? না হলে ভগবান ভোগ না-ও গ্রহণ করতে পারেন

পুজোর সময় নানা প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করে ঈশ্বরকে নিবেদন করা হয়। এই ভোগকে সাজিয়ে-গুছিয়ে ঈশ্বরের সামনে পরিবেশন করার নামই হল নৈবেদ্য।

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৭
offering food to god

—প্রতীকী ছবি।

হিন্দু ধর্মে পুজো করা মানেই ঈশ্বরের উদ্দেশে ভোগ নিবেদন। ভোগ, অর্থাৎ নানা প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করে ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা। এই ভোগকে সাজিয়ে-গুছিয়ে ঈশ্বরের সামনে পরিবেশন করার নামই হল নৈবেদ্য। যে ঠাকুর যে খাবার খেতে পছন্দ করেন, সেই অনুযায়ী আমরা নৈবেদ্য তৈরি করে থাকি। নৈবেদ্য তৈরি হয়ে যাওয়ার পর ঈশ্বরের সামনে রাখা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, দেবতারা সেই ভোগ গ্রহণ করেন। পুজোর পর সেই ভোগকেই আমরা প্রসাদ হিসাবে খাই। তবে জানেন কী, এই নৈবেদ্য নিবেদন করার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে তবেই নৈবেদ্য নিবেদন করা উচিত।

নৈবেদ্য নিবেদন করার কী কী নিয়ম রয়েছে:

১) ফল হোক বা মিষ্টান্ন, কিংবা বাড়িতে তৈরি করা অন্নভোগ, সবই কলাপাতায় সাজিয়ে নিবেদন করা উচিত। কলাপাতা যদি একান্ত না পাওয়া যায়, তখন থালায় সুন্দর করে সাজিয়ে নৈবেদ্য দেওয়া উচিত।

২) যে স্থানে নৈবেদ্যর থালা বা পাতাটি দেওয়া হবে সেখানে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী গোল করে জল ছিটিয়ে তার পর সেই স্থানে পাতা বা থালা রাখতে হবে।

৩) ঈশ্বরের উদ্দেশে নিবেদিত ভোগ কখনও আঢাকা অবস্থায় রাখতে নেই। সর্বদা সেটিকে ঢেকে রাখতে হবে।

৪) নৈবেদ্য তৈরির সময় ঝাল-মশলা খুব কম ব্যবহার করুন। তবে ঘি-মাখন বেশি করে ব্যবহার করতে পারেন।

৫) ভোগের সঙ্গে কখনও কাঁচা নুন দেওয়া যাবে না।

৬) নৈবেদ্য দেওয়ার পাতার অগ্রভাগ থাকবে নিজের দিকে এবং শেষ ভাগটা, অর্থাৎ ডাঁটার দিকটা রাখতে হবে বিগ্রহের দিকে।

৭) নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখার সঙ্গে সঙ্গে তুলসী বা ফুল নৈবেদ্যর উপরে দিয়ে দিতে হবে।

Astrology Astrological Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy