শাস্ত্রমতে, হনুমানজি হলেন মঙ্গল গ্রহের দেবতা। সেই কারণে জন্মছকে মঙ্গলের দোষ থাকলে পবনপুত্রকে পুজো করার নিদান দেওয়া হয়। মঙ্গলবার করে হনুমানজির আরাধনা করার ফলে সুফল লাভ হয়। এ ছাড়া মনে সাহসের সঞ্চার ঘটাতে এবং যে কোনও বিপদ থেকে বাঁচাতেও হনুমানজি সাহায্য করেন। তবে অনেকেই জানেন না যে, শনিবার করেও বজরংবলির পুজো করলে ভাল ফল লাভ করা যায়। শনির দোষ কাটাতেও সাহায্য করেন পবনপুত্র। তবে যেমন-তেমন করে তাঁর পুজো করলে হবে না। সঠিক উপায় পালন করে পুজো করলেই সুফল লাভ হবে।
আরও পড়ুন:
হনুমানজির পুজো করার উপায়:
১. হনুমানজির পুজো করার পূর্বে নিজেকে পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার বলতে কেবল বাহ্যিক ভাবে নিজেকে শুদ্ধ করা নয়, মন এবং চিন্তাভাবনাও শুদ্ধ করতে হবে। স্নান করে শুদ্ধ বসন পরে, পরিশুদ্ধ মনে বজরংবলির আরাধনা করতে হয়।
২. বাড়িতে পবনপুত্রের মূর্তি রাখার জন্য একটি কাচের পাটাতন নিতে হবে। সেটির উপর তাঁর মূর্তি স্থাপন করুন। কাঠের পাটাতন ও যেখানে হনুমানজির মূর্তি রাখছেন, উভয়ই যেন পরিষ্কার হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন:
৩. বজরংবলির পছন্দের মিষ্টি কমলা রঙের লাড্ডু। তাঁকে নৈবেদ্য হিসাবে তাই কমলা রঙের লাড্ডু অবশ্যই দিন। এরই সঙ্গে অন্যান্য নিরামিষ খাবার এবং ফলমূলও দিতে পারেন। ছোলা নিবেদন করলেও প্রভু খুশি হন। খাবার ও জলের উপর তুলসীপাতা দিন। হনুমানজির পায়ের কাছে তুলসীপাতা, কমলা সিঁদুর ও ফুল দিন। একটা লাল রঙের পতাকাও তাঁর হাতে দিতে পারেন।
৪. নৈবেদ্য দানের পর পবনপুত্রের সামনে প্রদীপ জ্বালান। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারলে খুব ভাল হয়, না হলে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালালেও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন:
৫. সব শেষে হনুমানজির সামনে একটি আসন পেতে তার উপর হাঁটু মুড়ে বসে হনুমান চালিশা পাঠ করুন। এই সময় মনঃসংযোগ বজায় রাখা জরুরি। অন্য কোনও দিকে মন দেওয়া যাবে না। হনুমান চালিশা পাঠের সময় জিভে একটা তুলসীপাতা রাখুন। পাঠশেষে জোড় হাতে পবনপুত্রের কাছে মনোস্কামনা জানান। তার পর রাম নাম জপ করে পুজো সম্পন্ন করুন।