দোলযাত্রার আগের দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার নেড়াপোড়া। প্রতি বছরই দোলের আগের দিন এই উৎসব পালিত হয়। শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে আহ্বান জানানোর উৎসব হল নেড়াপোড়া। নেড়াপোড়া উৎসবের পরের দিন দোল উৎসব। নানা ধরনের শুকনো পাতা, খড়, কাঠকুটো, খেজুর গাছের পাতা, নারকেল গাছের পাতা প্রভৃতি দিয়ে একটা পুতুলের রূপকল্প তৈরি করে জ্বালানো হয় এ দিন সন্ধ্যায়। নেড়াপোড়ায় আলু বা রাঙাআলু পুড়িয়ে ভোগ হিসাবে খাওয়া হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে নেড়াপোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিন বিশেষ কিছু টোটকা পালন করলে খুব ভাল উপকার পাওয়া যায়।
টোটকা:
১) বাড়িতে টাকাপয়সার সমস্যা থাকলে নেড়াপোড়ার আগুনে একটা শুকনো নারকেল দিয়ে দিন। এর ফলে লক্ষ্মীদেবী প্রসন্ন হন এবং আর্থিক উন্নতি ঘটে।
২) দাম্পত্য কলহ দূর করতে চাইলে বা দীর্ঘ দিন ধরে বিয়ে আটকে থাকলে বাজার থেকে হোমের সামগ্রী কিনে এনে নেড়াপোড়ার আগুনে দিয়ে দিন, ভাল ফল পাবেন।
৩) ছোট এক টুকরো চন্দন কাঠ নেড়াপোড়ায় দিলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
৪) গোবর শুকিয়ে যে ঘুঁটে তৈরি হয়, তা যদি নেড়াপোড়ার আগুনে দেওয়া যায়, তা-হলে বাড়ি থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হয় পজ়িটিভ শক্তি প্রবেশ করে।
৫) কর্পূর, লবঙ্গ, তিসি এবং সর্ষে নেড়াপোড়ার আগুনে দেওয়া খুব শুভ বলে মানা হয়।
৬) বাড়িতে কেউ অনেক দিন ধরে অসুস্থ থাকলে নেড়াপোড়ার আগুনের মধ্যে তিনটে বা পাঁচটা পান দিয়ে দিন। এর ফলে অসুস্থতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
৭) ঘরের নজরদোষ কাটাতে কালো তিল নেড়াপোড়ার আগুনে দিয়ে দিন।
৮) নেড়াপোড়ার সময় যদি গমের কিছু দানা আগুনে দেওয়া হয় তা-হলে সেই বাড়িতে কখনও অন্নের অভাব হয় না।