শ্রাবণ বাবা ভোলেনাথের মাস। এই মাসে শিবের উপাসনায় বিশেষ ফল লাভ করা যায়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে সকলের পক্ষে নিয়ম করে, উপবাস রেখে শ্রাবণের ব্রত পালন সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাজের চাপে সোমবারের ব্রত পালনও ঠিক করে করতে পারেন না অনেকে। কিন্তু শ্রাবণের প্রতি দিন নিরামিষ খেলে, অথবা প্রতি সোমবার উপবাস রেখে শিবের মাথায় জল ঢাললেই যে দেবাদিদেব তুষ্ট হবেন এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আপনার মন যেটুকু চাইবে, সেটুকু নিষ্ঠাভরে মহাদেবকে দিতে পারলে তিনি তাতেই খুশি হন। এ ছাড়াও একটি বিশেষ টোটকা রয়েছে। সেটি পালন করতে পারলেও দেবাদিদেব খুশি হন, দু’হাত ঢেলে আশীর্বাদ করেন। জেনে নিন বিশেষ সেই টোটকাটি কী।
আরও পড়ুন:
-
শ্রাবণের তৃতীয় সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণের বিশেষ যোগ রয়েছে! শিবের প্রিয় এই ফলটি পরার সময় কী কী নিয়ম মানতে হয়?
-
দান করে পুণ্য লাভের বদলে পাপ কুড়োচ্ছেন না তো? শ্রাবণে কিছু জিনিস দানে ঘটে অমঙ্গল, অর্থকষ্ট মাথা চাগাড় দেয়!
-
সম্পর্কের বন্ধনে লাগুক শুভ রঙের ছোঁয়া, আদরের ভাইয়ের হাতে সুরক্ষার ডোর বাঁধুন রাশি অনুযায়ী ‘লাকি’ রং মিলিয়ে
শ্রাবণের বিশেষ ফলদায়ী টোটকা:
অফিস-কাছারি, সংসার প্রভৃতি সমস্ত কিছু সামলে শ্রাবণের ব্রত পালন করতে পারছেন না বলে মনখারাপ করার দরকার নেই। শ্রাবণের শেষ সোমবার সন্ধ্যাবেলা অথবা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর বিশেষ একটি কাজ করুন, তা হলেই মহাদেবের কৃপা লাভ করতে পারবেন।
- বাইরের জামাকাপড় ছেড়ে স্নান করে নিন। হাত-পা ধুয়ে নিলেও চলবে। শুদ্ধ বস্ত্র পরা আবশ্যক।
- একটি প্রদীপের উপর একটা কর্পূর ও দু’টি লবঙ্গ জ্বালান। তার পর শিবের আরাধনা করুন।
আরও পড়ুন:
- আরাধনা করার পর গঙ্গাজল বা দুধের মধ্যে পছন্দমতো জিনিস, যেমন- চন্দন, ঘি, মধু প্রভৃতি মিশিয়ে ভোলেবাবার মাথায় ঢালুন ও নিজের মনস্কামনা জানান।
- এই দিন রাতে আমিষ খাবার খাওয়া যাবে না। সাধারণ নুন দেওয়া খাবারও না খাওয়াই ভাল। বদলে সৈন্ধব লবণ দেওয়া খাবার খাওয়া যেতে পারে।
- সাবু, ফলমূল খেতে পারেন। লুচি বা সেদ্ধ ভাতও খাওয়া যেতে পারে।