কারও খারাপ নজর যদি এক বার আমাদের উপর পড়ে, তা হলে সাজানো জীবন তছনছ হয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। অনেকে যদিও নজরদোষ বলে যে কিছু হয় সেই সবে বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু শাস্ত্রমতে, নজরদোষ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি জিনিস। এর প্রভাবে শুভ কোনও ফল লাভ হয় না, বরং জীবনের সব ভাল খারাপে পরিণত হয়। জ্যাোতিষশাস্ত্র বলছে, মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকারা অন্যদের তুলনায় বেশি নজরদোষে ভোগেন। এর কারণ হতে পারে জন্মছকে চাঁদ দুর্বল স্থানে থাকা। অর্থাৎ, কোষ্ঠীতে চাঁদ যদি দুর্বল হয় তা হলে খারাপ নজরের কোপে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
শাস্ত্রমতে, ২, ৬, ৯, ১২, ১৫, ২১ ও ২৭ তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় বেশি মাত্রায় নজরদোষের প্রকোপে ভোগেন। এর প্রকৃত কারণ হিসাবে জন্মপত্রিকায় চাঁদের দুর্বলতাকেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের অন্যদের তুলনায় বেশি ভুগতে হয়। শারীরিক কোনও কারণ হোক বা পেশাগত ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা, সব ঝামেলাই নির্দিষ্ট এই সকল তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকাদের বেশি পোহাতে হয়।
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি নজরদোষের কবলে পড়েছেন?
১. ঘন ঘন রোগব্যাধিতে ভুগলে বুঝতে হবে আপনার উপর কোনও খারাপ নজর পড়লেও পড়তে পারে। নজরদোষের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। এর কারণে আমরা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ি।
২. কোনও প্রায় হয়ে আসা কাজ ঘেঁটে যাওয়া খারাপ নজরের লক্ষণ হতে পারে। যেই মানুষ আপনার উপর খারাপ নজর দিচ্ছেন, তিনি কখনওই চাইবেন না যে আপনি কোনও কাজে সফল হন। তাই খারাপ নজরের কোপে পড়লে কোনও কাজই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় না। সর্বক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন:
৩. পেশাগত ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়াও নজরদোষের কারণে হতে পারে। নিত্য বসের বকুনি, সহকর্মীদের সঙ্গে মতভেদ প্রভৃতি ঝামেলার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে? পদোন্নতির বদলে পদ থেকে ছাঁটাই হওয়ার মুখে এসে পড়েছেন? এ রকম হলে বুঝতে হবে খারাপ নজর আপনার উপর জাঁকিয়ে বসেছে।
৪. উক্ত তারিখগুলিতে জন্মানো ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপরও নজরদোষের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বাড়ির সকলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপের দিকে যেতে থাকে। দাম্পত্য জীবনেও ঝগড়া-ঝামেলা লেগেই থাকে।