৯ অগস্ট ২০২৫, শনিবার রাখিপূর্ণিমা। এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি। এই দিন বাড়িতে যে কোনও মাঙ্গলিক কাজকর্ম করা খুবই শুভ। এই দিন বোনেরা দাদা এবং ভাইদের মঙ্গল কামনা করে তাঁদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। রাখি যে শুধু কারুকার্য করা রেশমি সুতো, তা নয়। এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভাইয়ের জীবনের নানা সমস্যার সমাধান। রাখির দিন বিশেষ কিছু টোটকা পালন করলে যেমন সংসারের মঙ্গল হয়, আবার ঠিক সে রকমই ভাইয়ের জীবনেও নেমে আসে মঙ্গলময় সময়।
আরও পড়ুন:
টোটকা:
১) রাখিপূর্ণিমার দিন অনেকের বাড়িতেই শ্রীবিষ্ণুর পুজো করা হয়। এর ফলে বাস্তুর কল্যাণ হয়। এই দিন বাড়ির লক্ষ্মীদেবীকে পাঁচ রকমের ফল, মিষ্টি এবং পাঁচ রকমের ফুল দিয়ে পুজো করতে পারলেও খুব ভাল হয়। বাড়িতে বিষ্ণুর পুজো করতে না-ও পারলে, লক্ষ্মীদেবীকে পাঁচ রকমের জিনিস দিয়ে পুজো করার চেষ্টা করুন।
২) ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার আগে, যদি সম্ভব হয় বজরংবলির মন্দিরে গিয়ে হনুমানজির হাতে রাখি পরান। হনুমানজিকে অবশ্যই লাল রঙের রাখি পরাতে হবে। এই দিন হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে বিশেষ ভাল ফল লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
৩) রাখিপূর্ণিমার দিন সূর্য অর্ঘ্য দিতে যেন ভুল না হয়। এই দিন প্রত্যেকের উচিত সূর্য অর্ঘ্য দেওয়া। এতে সংসারের খুবই মঙ্গল হয়।
৪) এই দিন সকাল এবং সন্ধ্যাবেলা মা লক্ষ্মীর সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
৫) রাখিপূর্ণিমার দিন সকালে স্নান সেরে গঙ্গাজলে কাঁচা দুধ মিশিয়ে অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় ঢালুন। ১১ বার সেই গাছ প্রদক্ষিণ করুন ও মনের কামনা জানান।
আরও পড়ুন:
৬) স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অটুট এবং মধুর করতে এই দিন চন্দ্রদেবকে কাঁচা দুধের মধ্যে সামান্য চিনি ও আতপ চাল মিশিয়ে অর্পণ করুন।
৭) এই দিন ভাই-বোন উভয়ই লক্ষ্মীদেবীকে গোলাপের আতর, সুগন্ধি ধূপ এবং লাল ফুল অর্পণ করে পুজো করুন। পুজো শেষে অবশ্যই কর্পূরের আরতি করতে হবে, এতে ভাই-বোনের সম্পর্ক অটুট থাকে।