মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করলে যে সুফল প্রাপ্তি হয় তা আমরা অনেকেই জানি। তবে শনির দশা থেকে বাঁচতে শনিবার করে হনুমানজির পুজো করলেও ভাল ফল পাওয়া যায়। শাস্ত্রমতে, শনি মহারাজ হনুমানজির আরাধনায় শান্ত হন। তাই শনির প্রতিকার হিসাবে জ্যোতিষীরা হনুমান চালিশা পাঠ ও হনুমানের আরাধনার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। শাস্ত্র আরও জানাচ্ছে, বিশেষ কিছু জিনিস রয়েছে সেগুলি যদি শনিবার কোনও হনুমান মন্দিরে গোপনে দান করা যায়, তা হলে বজরংবলির কৃপা লাভ হয়। সেগুলি কী জেনে নিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলি দান করার সময় আপনাকে যেন কেউ না দেখতে পান, অথবা কেউ যেন না জানেন যে আপনি সেগুলি দান করলেন।
আরও পড়ুন:
কোন জিনিসগুলি দান করবেন?
লবঙ্গ: শনিবার সকালে স্নানের পর যে কোনও হনুমান মন্দিরে লবঙ্গ দান করতে পারলে খুব ভাল হয়। লবঙ্গ আমাদের মনে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। হনুমান মন্দিরে লবঙ্গ দান করলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও শান্তি লাভ করা যায়। জীবনের নানা ক্ষেত্রে থাকা বাধার কবল থেকেও মুক্তি মেলে।
দেশলাই: তুচ্ছ মনে হলেও হনুমানজিকে দেশলাই দান করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এটি সাহস ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতি শনিবার করে হনুমান মন্দিরে গোপনে এক প্যাকেট করে দেশলাই দান করে দেখুন, ফল নিজেই বুঝতে পারবেন। শনিদেবও তুষ্ট হবেন।
আরও পড়ুন:
তুলসী: হনুমান মন্দিরে গোপনে তুলসী দান করলেও দারুণ ফলপ্রাপ্তি ঘটে। জীবন পজ়িটিভ শক্তিতে ভরে ওঠে ও আর্থিক সমস্যার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
হলুদ কাপড়: গোপনে হনুমানের মন্দিরে হলুদ রঙের কাপড় দান করারও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এর প্রভাবে নানা দিক থেকে সুফল লাভ করা যায়। এর ফলে আমাদের মন পরিষ্কার হয়। হলুদ কাপড় দানের ফলে আমাদের সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আমরা জীবনের নানা সমস্যা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
আরও পড়ুন:
লাল পতাকা: অনেকেই জানেন যে লাল পতাকা হনুমানজির অত্যন্ত প্রিয় একটি জিনিস। শনিবার করে সকালবেলা হনুমানের মন্দিরে গোপনে একটা লাল পতাকা দান করলে নানা দিক থেকে উন্নতি লাভ করা সম্ভব। এর ফলে শনিদেবের রোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। পর পর কয়েকটি শনিবার এই কাজটি করতে পারলেই ফলপ্রাপ্তি ঘটবে।