শনিদেবের নাম শুনলেই মনে একটা ভীতি কাজ করে। কারণ, জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি গ্রহ অশুভ গ্রহ হিসাবে পরিচিত। শনিদেবও অন্যান্য দেবতার তুলনায় যে রাগী তা আমরা জানি। সেই কারণেই তাঁর প্রভাবকে আমরা এতটা ভয় পাই। তবে শনিদেব উপযুক্ত কারণ ছাড়া খারাপ ফল দেন না বলে জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র। কর্মফলদাতা শনি মানুষের কাজের বিচার করেই ফল দান করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে তিনি মানুষকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করেন যে উক্ত মানুষটি কী ভাবে সমস্যাটি সামলাচ্ছেন। পরবর্তী কালে তিনি সেটির বিচারে ফল দেন। ২০২৬-এ শনির নজরে থাকতে পারেন দুই রাশির জাতক-জাতিকারা। বছরের প্রথম থেকেই তাঁদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
আরও পড়ুন:
কোন দুই রাশি ২০২৬-এ শনির নজরে থাকবে?
সিংহ ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা ২০২৬-এ শনির রোষের মুখে পড়তে পারেন। বছরের প্রথম থেকেই শনি আপনাদের নজরে রাখবেন। সচেতন না থাকলে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কর্মফলদাতা শনি খারাপ কাজ করলে যেমন তার খারাপ ফল দান করেন, তেমনই ভাল কাজ করলে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। তাই ফলের আশা না রেখে কাজ করে যান। শনিদেব আপনার ভাল করবেন।
আরও পড়ুন:
-
ব্যবসায় ক্ষতি, সম্পর্কে টানাপড়েন! ২০২৬-এ কেতুর কবলে তিন রাশি, সচেতন না হলে হতে পারে বড় ক্ষতি
-
ভোরের স্বপ্ন সব সময় সত্যি না হলেও সেই সময় দেখা পাঁচ স্বপ্ন ভাগ্য বদলানোর ইঙ্গিত দেয়! কী দেখলে খুশি হবেন?
-
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, অস্থিরতা কমবে! ২০২৬ হয়ে উঠবে স্বপ্নের মতো সুন্দর যদি পালন করা যায় সহজ ছয় টোটকা
কোন কোন ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?
১. আর্থিক ক্ষেত্র: নতুন বছরে এই দুই রাশির বাড়িতে কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে অর্থের প্রয়োজন পড়বে। তাই বছরের প্রথম থেকেই অযথা খরচ এড়িয়ে চলুন। না হলে টাকাপয়সার চিন্তা আপনাকে গ্রাস করবে। অযথা অর্থব্যয় বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
২. সম্পর্কক্ষেত্র: সিংহ ও ধনু রাশির যে সকল জাতক-জাতিকারা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন, তাঁদের জন্যও নতুন বছরটা সুখের হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। প্রেমজীবনে ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। কথা বুঝেশুনে বলতে হবে। সঙ্গীর সঙ্গে অযথা ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। কোনও সমস্যা হলে সেটা নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নিন। না হলে ঝগড়া বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
৩. শারীরিক ক্ষেত্র: দুর্বলতা গ্রাস করবে। কোনও কাজে আগ্রহ বোধ করবেন না। ফলত কর্মক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু শরীরের দিকে নজর দিন। শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। সময় মেনে খাওদাওয়া করতে হবে। কম তেলমশলা যুক্ত খাবার খান।