(১) লগ্ন পতি যদি সপ্তমে অবস্থান করে তবে জাতক বউয়ের কথায় বা আদেশে চলে। আর সপ্তম পতি যদি লগ্নে অবস্থান করে তবে বউ জাতকের আদেশ পালন করে চলে।
(২) লগ্ন পতি আর সপ্তম পতি যদি পরস্পর শত্রু হয়ে দৃষ্টি দেয়, তবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয় আর মিত্র হলে উত্তমাপ্রীতি হয়।
(৩) বৃহস্পতি, রবি, শুক্র, বা চন্দ্র এই গ্রহদের যে কেউ সপ্তমে অবস্থান করলে বা দৃষ্টি দিলে, জাতকের পত্নী গৌরবর্ণ হয়। একই ভাবে মঙ্গল অবস্থান করলে রক্তগৌরবর্ণা হয়। বুধে ঈষৎ শ্যামবর্ণ, শনি বা রাহুতে শ্যামবর্ণা বা কৃষ্ণবর্ণা হয়ে থাকে।
(৪) সপ্তমে রবিতে অকাল জীর্ণা, বুধ ও চন্দ্রে বালভাবাপন্না, শুক্রে চিরযৌবনা, মঙ্গলে যৌবনাতীতভাবাপন্না, বৃহস্পতিতে শোভনা ও গুণবতী, শনি বা রাহুতে বৃদ্ধাভাবাপন্না বা কৃট স্ত্রী লাভ হয়।
(৫) সপ্তমস্থ শনি বা রাহুতে ক্লীবস্বভাবা স্ত্রীলাভ হয়। চন্দ্র বা শুক্রে স্ত্রীস্বভাবা, রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিতে পুরুষস্বভাবা স্ত্রী লাভ হয়।
(৬) মেষ, বৃষ, মকর ও কুম্ভ যদি নারীর জন্ম লগ্ন হয়, সেই জন্ম লগ্নে যদি পাপদৃষ্ট শুক্র ও চন্দ্র থাকে, তবে নারী মাতা-সহ ব্যভিচারিনী হয়।
(৭) যে স্ত্রীর জন্মকালে শুক্র ও মঙ্গল যে কোনও রাশিতে থেকে পরস্পর পরস্পরের নবাংশগত হয়। সেই স্ত্রী পরপুরুষে আসক্ত হয়ে থাকে। আর শুক্র ও মঙ্গল চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সপ্তমে থাকে, তা হলে নারী স্বামীর আদেশে পরগামিনী হয়।
(৮) যে নারীর সপ্তমে চন্দ্র ও শুক্র থাকে, সে কমবেশি ঈর্ষান্বিতা ও সুখাসক্তা হয়ে থাকে।
(৯) কোনও নারীর অষ্টমে পাপগ্রহ থাকলে নারী বিধবা হয়, কিন্তু উক্ত যোগে লগ্নের দ্বিতীয়ে শুভ গ্রহ থাকলে নারীর সধবা অবস্থাতেই মৃত্যু হয়।
(১০) কোনও নারীর সপ্তমে পাপ ক্ষেত্রে শনি থাকলে নারী বিধবা হয়। আর দু’টি পাপ গ্রহ থাকলে নারী কামাসক্তা হয় ও বিধবা হয়। তিনটি পাপ গ্রহ থাকলে নারী কূলটা হয় এবং স্বামীকে হত্যা করার চেষ্টা করে।
(১১) কোনও নারীর সপ্তমে নষ্টাবলী পাপগ্রহ শুভদৃষ্ট না হলে নারী স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা হয়। আর একই সঙ্গে শুভ ও অশুভ গ্রহ থাকে, তা হলে বিধবা হবার পর দ্বিতীয় বার বিবাহ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy