বেশি চিন্তা করা যেমন আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও এর কুপ্রভাব পড়ে। বেশি চিন্তা করার ফলে আমরা কোনও কাজেও পুরোপুরি মন দিতে পারি না। এই কারণে প্রায় হয়ে আসা কাজও অনেক সময় ভেস্তে যায়। অতিরিক্ত চিন্তা করা মানুষেরা নিজেদের করা কোনও কাজেই তুষ্ট হন না, প্রায় সব কিছু নিয়েই তাঁরা উদ্বেগে ভোগেন। এর প্রভাব তাঁদের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সম্পর্কের উপরও পড়ে। শাস্ত্রমতে, পাঁচটি রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই সব ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করেন। জেনে নিন তাঁরা কারা।
আরও পড়ুন:
কোন রাশির ব্যক্তিরা অযথা চিন্তা করেন?
মিথুন: এই রাশির ব্যক্তিরা অত্যন্ত মিশুকে প্রকৃতির হন। এঁরা লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করেন। কাছের মানুষদের দুঃখ দিতে এঁরা পছন্দ করেন না। কাছের মানুষ তাঁদের করা কোনও কাজে বা বলা কোনও কথায় দুঃখ পেল কি না সেটাই এঁদের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। সর্বদা এঁরা সে সব নিয়েই ভেবে চলেন। কাছের মানুষ এঁদের ঠকাচ্ছে না তো, সেই নিয়েও মিথুনের মনে নানা সংশয় চলতে থাকে। অহেতুক চিন্তার ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে এঁরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে বসেন।
সিংহ: ছোটখাটো যে কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা করা সিংহ রাশির স্বভাবেরই অংশ। এঁরা নিজেদের অযথা চিন্তার উপর ভিত্তি করে সমস্ত পরিস্থিতিকে যাচাই করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর ফলে সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা ভোগান্তিও পোহাতে হয়। কিন্তু তাতে এঁদের কিছু যায়-আসে না। সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা কোনও মতে অযথা চিন্তা করা ছাড়তে চান না। নিজেদের সকল ভাবনাকে এঁরা নিজেদের মস্তিষ্কে জমিয়ে রেখে দেন। কারোর সঙ্গে ভাগ করে নিতেও পছন্দ করেন না।
কন্যা: ঠিক জিনিসটাই নিলাম তো, না কি অন্যটা নেওয়া উচিত ছিল, এটা খাব না ওটা, আজ যাব না কাল, এই সকল নানা দোনামনা কন্যার মাথায় সর্বদা চলতেই থাকে। এঁরা সব কিছু নিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভাবতে পছন্দ করেন। এর প্রভাবে এঁদের মাঝেমধ্যে নানা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও যেতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এঁরা সব কিছু নিয়ে ভাবা থামান না। বহু ভাবনার পর কন্যা রাশির ব্যক্তিরা যে জিনিসটাকে বেছে নেবেন, পরক্ষণে আবার সেটা নিয়েও ভাবনা শুরু করবেন। এঁদের চিন্তার সাইকেল ছুটে চলে সর্বদা।
আরও পড়ুন:
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পছন্দ করেন। এঁরা অন্যকে কষ্ট দিতে যেমন পছন্দ করেন না, তেমনই অপরজন এঁদের ভুল বুঝুক সেটাও তাঁরা চান না। বৃশ্চিক সকলের মন রেখে চলাতেই বিশ্বাসী। আর সেটাই এঁদের চিন্তারও কারণ। কেউ যদি এঁদের সঙ্গে একটু অন্য সুরে কথা বলে, তা হলেই এঁদের মাথায় নানা প্রকার ভাবনা ভিড় করা শুরু করে। ভাবনার এমনই বুঁদ হয়ে যান বৃশ্চিকেরা যে কোনও কাজে মন দিতে পারেন না। সর্বদা কিছু না কিছু নিয়ে ভেবে চলাই এঁদের প্রিয় কাজ।
আরও পড়ুন:
কুম্ভ: রাশিচক্রের এগারো নম্বর রাশি কুম্ভ যে কোনও বিষয় নিয়ে ভাবতে খুব পছন্দ করেন। সহজ বিষয়কে মাথার মধ্যে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বড় আকার দেওয়ার পর এঁরা শান্ত হন। তার পর সেই জিনিসটিকে নিয়ে এঁরা উদ্বেগে ভোগেন। কেউ যদি এঁদের কোনও বিষয় নিয়ে বেশি ভাবতে নিষেধ করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি এঁদের কাছে খারাপ হয়ে যান। কিন্তু বেশি ভাবার ফলে অযথা চাপেও এঁরাই ভোগেন।