বিয়ে মানে বাকি জীবনটা একে অপরের সঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করা। একে অপরের ভাল-মন্দ সবটাই ভাগ করে নিতে হয়। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, জীবনসঙ্গীর হাতটা শক্ত করে ধরে রাখাই কাম্য। সে ক্ষেত্রে সকল মেয়ের মা-বাবারই চিন্তা থাকে যে পাত্র শেষে গিয়ে ভাল হবেন তো! হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী, বিয়ের পর মেয়েকে আর নিজের বাড়িতে রাখা হয় না, শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে যাঁর ভরসায় পাঠানো হচ্ছে, তিনি মানুষটা কেমন সেটা যাচাই করে নেওয়াই স্বাভাবিক। শাস্ত্র জানাচ্ছে, সাত রাশির পুরুষের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলে তাঁকে নিয়ে আর কোনও চিন্তার দরকার নেই। স্বামী হিসাবে এঁরা অত্যন্ত ভাল।
আরও পড়ুন:
কোন রাশির ছেলেরা ভাল স্বামী হন?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষ ভাল স্বামী হওয়ার দৌড়েও প্রথমেই রয়েছেন। এই রাশির পুরুষেরা তাঁদের স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত দায়িত্ববান হন। তাঁদের ভাল রাখার জন্য প্রাণ দিতেও রাজি থাকেন। এঁরা কখনও স্ত্রীর অসম্মান করেন না। সর্বদা তাঁদের মনমাফিক চলার পূর্ণ চেষ্টা করে থাকেন।
কর্কট: কর্কট রাশির পুরুষেরা তাঁদের স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত যত্নবান হন। সর্বদা তাঁদের খেয়াল রাখেন। স্ত্রী কিসে খুশি হবেন, কোনটা তাঁর ভাল লাগবে না সেটা মনে রেখে চলেন। স্ত্রী মনে ব্যথা পাবেন এমন কোনও কাজ এঁরা করেন না। এই রাশির জাতকেরা অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে সংসার ধর্ম পালন করে থাকেন।
আরও পড়ুন:
কন্যা: কন্যা রাশির ছেলেরা স্বামী হিসাবে খুব ভাল হন। এঁরা স্ত্রীর যে কোনও মনোবাঞ্ছা অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে পূরণ করেন। স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজনের প্রতিও এঁরা অত্যন্ত দায়িত্ববান হন। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক, কন্যা রাশির পুরুষেরা কখনও স্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেন না।
তুলা: যুক্তিবাদী তুলা রাশির পুরুষেরা স্ত্রীর আবেগের সামনে মাথা নত করে নেন। স্ত্রীর খারাপ লাগবে, এমন কোনও কথা এঁরা বলেন না, সে প্রকার কোনও কাজ করা থেকেও এঁরা শতহস্ত দূরে থাকেন। এঁরা অত্যন্ত রোম্যান্টিকও হন। তাই এঁদের যাঁরা স্বামী হিসাবে পান, তাঁরা ভাগ্যবান হন।
আরও পড়ুন:
বৃশ্চিক: আবেগতাড়িত বৃশ্চিক রাশির পুরুষেরা স্ত্রীর আবেগকে মর্যাদা দিতে জানেন। এঁরা নিজের স্ত্রী তথা সংসারের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্ববান হন। স্ত্রীর মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য এঁরা যা কিছু করতে পারেন। বৌয়ের রাগ সামলাতেও ওস্তাদ এঁরা। এই রাশির পুরুষেরা জানেন কী ভাবে রাগ ভাঙাতে হয়।
মকর: মকর রাশির পুরুষেরাও স্ত্রীর খেয়াল রাখার ব্যাপারে পারদর্শী। স্বামী হিসাবে এঁরা খুব ভাল হন। এই রাশির পুরুষদের চোখ বুজে ভরসা করা যায়। এঁরা স্ত্রীর পছন্দমতো চলতে ভালবাসেন। অন্য নারীর দিকে তাকান না। স্ত্রীর অনুগত হন। এই রাশির ছেলেদের বিয়ে করলে সংসার অত্যন্ত সুখের হয়।
আরও পড়ুন:
মীন: রাশিচক্রের শেষ রাশি মীনের ছেলেরাও স্বামী হিসাবে বিশ্বস্ত হন। এঁরা স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হন। সংসারে ভালবাসার কোনও অভাব রাখেন না। এক মুহূর্তের জন্যও স্ত্রীকে একলা বোধ করতে দেন না। বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর ইচ্ছাপূরণ করাই এঁদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।